লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে নুর আলম ওরফে নুরু টেইলার (৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নুর আলম সদর উপজেলার পাঁচপাড়া এলাকার কালা মিয়ার ছেলে এবং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর পাঁচপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাজনীতির পাশপাাশি নুর আলম টেইলারের কাজ করতেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে নুর আলম ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতেই আত্মগোপনে ছিলেন।
রোববার রাত ৮টার দিকে ১৫-২০ জনের এক দল দুর্বৃত্ত নুর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে নুর আলমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী-সন্তানকেও পিটিয়ে আহত করে তারা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নুর আলমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, "১৫-২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল রাত ৮টার দিকে পাঁচপাড়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ঘরে হামলা চালিয়ে আমার বাবা নুর আলমকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাধা দিতে গেলে আমাদের ওপরেও হামলা করে, এতে দুইজন আহত হয়।"
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন ও চাচা শাহ আলম।
শাহ আলম জানান, "৫ আগস্টের পর থেকে নুর আলম বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। পাশাপাশি পাচঁপাড়া এলাকায় দোকান দিয়ে টেইলারের কাজ করতেন।"
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার. ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, "হাসপাতালে আনার আগেই নুর আলম মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।"
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
"তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত বা কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের অভিযান করা হবে," যোগ করেন তিনি।