লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যা: গ্রেপ্তার ৬ ডাকাত, বাকিদের ধরতে সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে
লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা থেকে ছয়জনকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আটককৃতরা হলেন মো. বাবুল প্রকাশ (৪৪), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪), মো. আনোয়ার হাকিম (২৮), মো. আরিফ উল্লাহ (২৫), মো. জিয়াবুল করিম (৪৫) ও মো. হোসেন (৩৯)।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
ডাকাত দলের অন্যান্য জড়িত সদস্যদেরকে আটক করতে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
প্রাথমিক তদন্তের বরাতে আইএসপিআর জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে চারজন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। অন্য দুজন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন।
তাদের মধ্যে মো. বাবুল প্রকাশ এ ঘটনার অর্থের মূল যোগানদাতা বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি লেফটেন্যান্ট তানজিমকে প্রাণঘাতী ছুরিকাঘাত করেন বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
আটকদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১১ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি, একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি মোটরবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এ ছয়জনকে চকরিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে চকরিয়ায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে গেলে তানজিম ছারোয়ারকে গুলি করে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
চকরিয়া পুলিশ ও সেনাবাহিনী জানায়, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তানজিম অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর টহল দলকে দেখে ৭–৮ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাতদল পালানোর চেষ্টা করে।
ওইদিন সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, তানজিম কয়েকজন ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা তাকে আক্রমণ করে।
এ সময় ডাকাতেরা তার ঘাড়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। ফলে গুরুতর আহত হন এ লেফট্যানেন্ট। ছুরির আঘাতে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
তানজিমকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।