ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আরও ২৫০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা
১০, ৫০ বা ১০০ টাকা হিসাবধারী প্রান্তিক/ভূমিহীন কৃষক, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, স্কুল ব্যাংকিং হিসাবধারী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য গঠিত আবর্তনশীল রিফাইন্যান্স স্কিম (পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা) আরও ২৫০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ কোটি টাকা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১ সালে আর্থিকখাতে পিছিয়ে থাকাদের সহায়তা করতে ৫০০ কোটা টাকার এই রিফাইন্যান্স স্কিম গঠন করা হয়েছিল।
আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগ এ সম্পর্কিত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, স্কিমের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, ২০২৪ সালের প্রাকৃতিক দুর্যোগে (বন্যায়) ক্ষতিগ্রস্ত মোট ২৭টি জেলাসহ অন্যান্য বন্যাদুর্গত এলাকার জনগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ সুবিধা প্রদান; প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা নারীদের জন্য ব্যাংক ঋণের সহজলভ্যতার পথ সুগম রাখা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ— সর্বোপরি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আয় উৎসারী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে— দেশের অর্থনীতিকে চলমান রাখার নিমিত্তে উক্ত তহবিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৭৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হলো। এ স্কিমের আওতায় মোট ঋণের ন্যূনতম ২৫ শতাংশ নারী ঋণগ্রহীতা/উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের গ্রাহকরাও এ ঋণ সুবিধা পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, ব্যাংকগুলো এই রিফাইন্যান্স স্কিমের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ (০.৫) সুদে টাকা পাবে। তবে ক্ষুদ্র ঋণের পরিচালন খরচ বেশি হওয়ার কারণে গ্রাহক পর্যায়ে এই ঋণের সুদহার ৭ শতাংশ। একজন ব্যক্তি এই স্কিম থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়া পাঁচ জন গ্রুপ করে ঋণ নিলে তাদেরকে সর্বোচ্চ মোট ২০ লাখ টাকা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, 'ব্যাংকগুলো আমাদের জানিয়েছে যে এই স্কিম থেকে দেওয়া ঋণের রিকভারি বেশ ভালো হয়। তাই, তাদের আগ্রহও বেড়েছে।'