চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে নিহত ৩
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং জেটি এলাকায় আজ সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) 'বাংলার জ্যোতি' নামে তেলবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন জাহাজের ডেক ক্যাডেট সৌরভ কুমার সাহা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ফোরম্যান নুরুল ইসলাম ও জাহাজের কর্মী মো. হারুন।
আজ বিকেলে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এর আগে নেভাল কমান্ডার মাসুদ ইকবাল আজ দুপুরে গণমাধ্যমকে ডেক থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দুটি মরদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছিলেন।
জাহাজটি বিএসসির মালিকানাধীন। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটি নম্বর ৭-এ নোঙর করা অবস্থায় জাহাজটিতে আগুন ধরে।
এর আগে বাংলাদেশ মেরিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ক্যাপ্টেন শাখাওয়াত বলেন, "জাহাজের ওপরের ডেকে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। তখন তিনজন টেকনিশিয়ান মেরামতের কাজ করছিলেন। আমরা শুনেছি একজন ক্যাডেট ও তিনজন টেকনিশিয়ান বিস্ফোরণে মারা গেছেন।"
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) নির্বাহী পরিচালক (প্রযুক্তি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, তিনজন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন।
নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, "আমরা এখনও জাহাজে উঠিনি। জাহাজে প্রবেশ করার পরই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারব।"
জাহাজটি আজ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটি নম্বর ৭-এ নোঙর করা অবস্থায় আগুন ধরে যায়।
আগুনে সামনের সব দড়ি পুড়ে যায় এবং 'বাংলার জ্যোতি'-র সামনের অংশ জেটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আশেপাশের সব জাহাজকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তেলের স্থাপনাগুলোকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, জরুরি সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আহ্বান করা হয়েছে। আগুন সম্পূর্ণ নেভানো হয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে দুইজন পাইলটকে জাহাজে পাঠানো হয় এবং জাহাজটিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে ৪০ জন ক্রু ছিলেন।