প্রায় ১২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে কুতুবদিয়ায় এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন
চট্টগ্রাম বন্দরের কুতুবদিয়া এ্যাংকরেজ এরিয়ায় নোঙর করে রাখা এলপিজি বহনকারী 'বি-এলপিজি সোফিয়া' নামের লাইটার জাহাজটিতে লাগা আগুন প্রায় ১২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি।
তিনি বলেন, "প্রায় ১২ ঘণ্টা চেষ্টার পর রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে জাহাজটির ভিতরে পুনরায় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা কাজ চালাচ্ছেন।"
এর আগে, শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাত পৌনে ১টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার কৈয়ারবিল পয়েন্ট এলাকায় জাহাজটিতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট শাকিব মেহবুব জানান, এ ঘটনায় রোববার ভোর পর্যন্ত কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল জাহাজটিতে থাকা ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তবে এ দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আগুন লাগার পর প্রথমে নাবিকরা দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটি থেকে সাগরে লাফ দেন। পরে নাবিকদের উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের গণমাধ্যম কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ক্রুদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের বেশ কয়েকটি জাহাজ। উদ্ধারকাজে অংশ নেয় মেটাল শার্ক এবং চারটি অগ্নিনির্বাপনী ও উদ্ধারকারী দল।
এর আগে, কোস্টগার্ডের গণমাধ্যম কর্মকর্তা খন্দকার মুনিফ তকি জানান, দুর্ঘটনার কবলে পড়া 'বি-এলপিজি সোফিয়া' নামের লাইটারেজ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। যদিও কোন দেশ থেকে জাহাজটি এলপিজি বহন করে আনছিল, তা নিশ্চিত করতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
মুনিফ তকি বলেন, "এলপিজি বহনকারী জাহাজ 'সোফিয়া' কুতুবদিয়া উপকূলের পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছিল। শনিবার মধ্যরাতে জাহাজটিতে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। কুতুবদিয়ার উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কয়েকটি জাহাজ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।"
এদিকে, জাহাজটি কোন দেশ থেকে আসছিল এবং কী পরিমাণ এলপিজি এতে ছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, "জাহাজটিতে মোট ৩১ জন ক্রু ছিল। তাদের সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদেরকে চট্টগ্রামের হোটেল আগ্রাবাদে রাখা হয়েছে।"
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।