যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পঘনিষ্ঠ লবিং প্রতিষ্ঠান 'নিয়োগ' দিয়েছেন জয়
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে স্ট্রাইক গ্লোবাল ডিপ্লোম্যাসি (এসজিডি) নামে একটি লবিং প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি আগে সোনোরান পলিসি গ্রুপ নামে পরিচিত ছিল।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটি জয়কে যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করবে।
সুইডেনভিত্তিক বাংলা সংবাদ মাধ্যম নেত্র নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয় এসজিডির সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি করেছেন। চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি তাদের অগ্রিম দুই লাখ মার্কিন ডলার অর্থাৎ প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়েছেন।
এর বিনিময়ে এসজিডি জয়ের পক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী এবং আইনসভা শাখার সাথে যোগাযোগ করবে এবং বাংলাদেশকে ঘিরে চলমান বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রভাবিত করবে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর জয়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ওয়াজেদ কনসালটিং ইনক. যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের (এফএআরএ) অধীনে একটি চুক্তি ও এর একটি সংশোধনী স্বাক্ষরিত হয়। লবিং প্রতিষ্ঠানটি ক্রিশ্চিয়ান বুর্জ এবং রবার্ট স্ট্রাইক পরিচালনা করে থাকেন। তারা দুজনই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি। তারা দুজনই ২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন।
ইতিহাস বলে জয় এর আগেও মার্কিন লবিস্টদের নিয়োগ দিয়েছেন। ২০০৫ সালে তিনি ইউএস আওয়ামী লীগের পক্ষে আলকালডে অ্যান্ড ফে'কে সাত লাখ ২০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন। সেই সময় কংগ্রেস সদস্য গ্যারি একারম্যান বাংলাদেশের রাজনৈতিক দিক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সেসময় একে পাকিস্তানের জেনারেল মোশাররফের শাসনের সাথে তুলনা করে বলেছিলেন, মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতা ইসলামী উগ্রপন্থীদের শক্তিশালী করতে পারে।
তার মায়ের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর যখন দলের বেশিরভাগ নেতাই আত্মগোপনে বা কারাগারে রয়েছেন তখন জয় আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে আবির্ভূত হন। জয়ের সাম্প্রতিক বক্তব্য অনুসারে, এই প্রচেষ্টা সম্ভবত বাংলাদেশকে ইসলামী উগ্রপন্থীদের দ্বারা দখল হওয়া হিসেবে উপস্থাপনের দিকে মনোনিবেশ করতে পারেন তিনি।