সামনের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে খুলনায় বিএনপির সুধী সমাবেশে সংঘর্ষ
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) খুলনায় বিএনপির সুধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় সামনের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আধা ঘণ্টা ধরে চলতে থাকা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৪ জনকে বহিষ্কার করেছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খুলনা মহানগর বিএনপির সহায়তায় খালিশপুর থানার ৮ ও ১১ নং ওয়ার্ড যৌথভাবে সেখানে এই সমাবেশের আয়োজন করেছিল।
খালিশপুর থানার বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব বিশ্বাস বলেন, "সামনে বসা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপ তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।"
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৫ জন সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. সরোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তুহিন, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যুবদল নেতা শরিফুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য দিদার বিশ্বাস ও মো. সোহেল, ৮ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. নূরুজ্জামান। বাকিরা দলীয় কর্মী।
খুলনা মহানগর বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিলটন জানান, সুধী সমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে ৪ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
তারা হলেন— খালিশপুর থানার অর্ন্তগত ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, মাসুদ হোসেন, ফকির শহিদুল ইসলাম।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, "এই চারজনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত দাখিল করতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে বাকি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তবে থানায় অভিযোগ না আসায় এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনও কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।"