দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বেকারত্বের হার প্রায় ৫০ শতাংশ: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বন্যার পর কিছু এলাকা পরিদর্শন করে এবং গ্রামাঞ্চলের তথ্যে দেখা গেছে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারত্বের হার প্রায় ৫০ শতাংশ। এর ফলে নারী ও শিশুদের মধ্যে পুষ্টির বড় ধরনের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
বুধবার মহাখালির ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ব্যাপক বেকারত্বের কারণে নারী, শিশুর পুষ্টিতে সমস্যা হচ্ছে। এটাকে দুর্যোগ হিসেবে দেখা উচিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে এটা আরও বেশি প্রকট হয়ে উঠে।
তিনি বলেন, "আমরা ৭৫টি উপজেলার উপর একটি প্রকল্প তৈরি করছি, যেখানে বেকারত্বের হার ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি। সেখানে ৭৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য ও জীবিকার জন্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এতে ব্যয় হতে পারে ৮১৯ কোটি টাকা।
এই প্রকল্পে এনজিও, বিদেশি দাতা সংস্থা চাইলে যুক্ত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, শুধু ব্র্যাকই নয়, দেশের অন্যান্য এনজিওগুলোর উচিত ডিসেম্বরের মধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, পুনর্বাসন কর্মসূচি, ড্রেইনেজ সিস্টেমের সংস্কার, জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় প্রকল্প নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা।
