রামপুরায় নিজ বাসা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় নিজ বাসা থেকে কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিটিভি (বাংলাদেশ টেলিভিশন) ভবনের পেছনের একটি বাসায় মনি ভাড়া থাকতেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আতাউর রহমান বলেন, "ওই বাসায় মনি একাই থাকতেন। বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বাড়িওয়ালা আজ (১৯ অক্টোবর) ভাড়া নিতে গিয়ে অনেকবার কলিংবেল বাজিয়ে সাড়া পাননি। এছাড়া, ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসায় তার সন্দেহ হয়।"
"তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানান। সেখান থেকে আমাদের জানানো হলে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে," বলেন আতাউর।
তিনি আরও বলেন, "মরদেহ পচতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে।"
"ময়নাতদন্তের পরে কবে ও কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে বিস্তারিত জানা যাবে," যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রায় এক দশক আগে মনি কিশোরের সর্বশেষ অ্যালবাম হয়। তবে তিনি মাঝেমধ্যে রেডিও ও টিভিতে পারফর্ম করার পাশাপাশি স্টেজ শোতেও অনিয়মিতভাবে অংশ নিতেন।
মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে পোশাক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন মনি। সঙ্গীতে অনিয়মিত হলেও সেই ব্যবসা তিনি চালিয়ে গেছেন।
এক সময়ের জনপ্রিয় শিল্পী মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও সেখানে গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত, অডিওতেই কাজ করেছেন সবচেয়ে বেশি।
'কী ছিলে আমার বলো না তুমি', 'আমি মরে গেলে', 'ফুল ঝরে তারা ঝরে', 'মুখে বলো ভালোবাসি', 'আমি ঘরের খোঁজে'- এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় গান ভক্তদের উপহার দিয়ে গেছেন কণ্ঠশিল্পী মনি কিশোর।