বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ জেনারেশন নেক্সটের শ্রমিকদের
বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে নবীনগর-চন্দ্রা সড়কে অবস্থান নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ করছেন আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানা জেনারেশন নেক্সটের শ্রমিকরা।
এর আগে, গতকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে একই সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তারা, সেই ধারাবাহিকতায় আজও বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
শ্রমিকদের অবরোধের মুখে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সড়কটি। একইসাথে ওই এলাকা থেকে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কটিতেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "ওই সড়কটি ছাড়া অন্য সড়কে জ্যাম নেই। যেহেতু সড়কটি অবরোধ করে রাখা হয়েছে, আমরা যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।"
শিল্প পুলিশের একজন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, "গতকাল থেকে শ্রমিকরা ননস্টপ অবরোধ করে রেখেছে। সেভাবেই আছে এখনো। আমরা শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও তারা বলছেন, বকেয়া বেতন ভাতা না পাওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক থেকে সরবেন না। সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ, আলোচনা অব্যাহত আছে।"
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, "এই কারখানার মালিক পলাতক, কারখানাও বন্ধ। এ অবস্থায় শ্রমিকরা বকেয়া পাওনার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। মালিক পলাতক থাকায় সমস্যা সমাধানে বেগ পেতে হচ্ছে, তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।"
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ গত তিন মাস যাবত শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধ করছে না। বেতন না দিয়েই কিছুদিন আগে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। মালিকপক্ষ কয়েক দফায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলেও গত ৩ মাসে কোনো বেতন-ভাতা পাননি তারা। কারখানাটিতে স্টাফদেরও কয়েক মাসের বেতন ভাতা বকেয়া বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
এই অবস্থায় শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে না বলেও জানান তারা।
রাকিব নামে কারখানাটির একজন শ্রমিক বলেন, "বর্তমান বাজারে একমাস বেতন না পেলেই মানুষের জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়ে, সেখানে ৩ মাস আমরা কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছি না, কারখানা বন্ধ। এর আগে বিজিএমইএ আশ্বাস দিলেও কোনো সমাধান হয়নি। খুব বাজে রকমের পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। বকেয়া পরিশোধ না করা হলে শ্রমিকরা এখান থেকে সরবে না।"
তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল করেও শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো সারোয়ার আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।