বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক-বিক্ষোভ: জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের ৩ কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিল যৌথবাহিনী
আশুলিয়ার বন্ধ পোশাক কারখানা জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠানটির তিনজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃতদের মধ্যে একজন নারী পরিচালকও আছেন, তবে তাদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
আবু বকর সিদ্দিক বলেন, 'জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে আমরা শিগগিরই ভালো খবর দিতে পারব। প্রতিষ্ঠানটির একজন নারী পরিচালকসহ তিনজন কর্মকর্তা হেফাজতে আছেন এবং সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে।'
এর আগে সোমবার সকাল ১০টা থেকে শতাধিক শ্রমিক তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে আশুলিয়ার নবীনগর–চন্দ্রা সড়কের বাইপাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে সড়কটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
৩১ ঘণ্টা অবরোধের পর মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়। এরপর যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা জানান, এক মাসের বেতন বকেয়া রেখে কারখানাটি দুমাস আগে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। তাই তারা কারখানা খোলার এবং বকেয়া পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ জানায়, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সড়ক ছাড়ার অনুরোধ করেন। তবে শ্রমিকেরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান।
শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শ্রমিকদের জানায়, কারখানার মালিকের বোনসহ তিনজন কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রয়োজনে কারখানা বিক্রি করে বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।
এর পর কিছু শ্রমিক সড়ক থেকে সরে যেতে রাজি হলেও অন্য একদল শ্রমিক এতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বিকেলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, 'শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবির প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। প্রয়োজনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কারখানার মালামাল বিক্রি করে বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি তাদেরবলা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'একটি পক্ষ শ্রমিকদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শ্রমিকদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।'