রাজধানীতে মহাবিপন্ন ইন্ডিয়ান বনরুই উদ্ধার
ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের মহাদীনগর ট্রাকস্ট্যান্ড থেকে একটি বিরল ও মহাবিপন্ন প্রজাতির ইন্ডিয়ান বনরুই উদ্ধার করা হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বন অধিদপ্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়।
এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার।
পরবর্তীতে, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল কুমার হালদার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বনরুইটি বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে আটক তিনজনকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযুক্তরা নেত্রকোনার কলমাকান্দা থেকে বিক্রির উদ্দেশ্যে বনরুইটিকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় নিয়ে এসেছিল বলে জানা যায়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বনরুইটিকে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করার জন্য বন অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেন। সেক্ষেত্রে কামরাঙ্গীচর থানা সার্বিক সহায়তা করে।
ওয়াইল্ড লাইফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড নেচার কনজারভেশনের ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সপেক্টর নিগার সুলতানা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস)- বলেন, বনরুই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া বন্যপ্রাণীগুলোর একটি।
তিনি আরও বলেন, 'এই মহাবিপন্ন প্রজাতিটি সাইটিস ১ মানদণ্ডের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত।'
কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন ইনডেঞ্জার্ড স্পিসিস অব ওয়ার্ল্ড ফনা অ্যান্ড ফ্লোরা (সাইটিস) এর পরিশিষ্ট ১-এ তালিকাভুক্ত প্রজাতিগুলোর বাণিজ্য কঠোরভাবে নিষিদ্ধ না করা হলে, এগুলো বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে পড়ে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, এসব প্রজাতির বাণিজ্য সাধারণত নিষিদ্ধ।
নিগার আরও বলেন, এই নিরীহ প্রাণীটি প্রকৃতিগতভাবে একটি পতঙ্গভুক এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় বিশাল ভূমিকা পালন করে। 'এই প্রজাতি রক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।'
প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২- অনুযায়ী বনরুই ধরা বা হত্যা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।