সিলেটে সাতসকালে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানে ঝটিকা মিছিল
সিলেট নগরে সাতসকালে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানে ঝটিকা মিছিল করেছে ১৫ থেকে ২০ জন তরুণ। এসময়, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষে মিছিলে স্লোগান দেয়া হয়।
এছাড়া, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও মিছিলে স্লোগান দেয়া হয়।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৭ টায় নগরের দরগাহ গেইট এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে চৌহাট্টা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম সিলেটে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' শ্লোগানে মিছিল হলো।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মিছিলে ১৫-২০ জন তরুণ অংশ নেন। তাদের প্রায় সকলের মুখেই মাস্ক ছিল। দরগাহ গেইট থেকে মিছিল শুরু করে চৌহাট্টা আসার আগেই ব্যানার গুটিয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান মিছিলকারীরা। স্লোগান শুনে মিছিলটি ছাত্রলীগের বলে মনে হয়েছে বলে জানান একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মিছিলটির ছবি ও ভিডিওতে ছাত্রলীগের পদধারী বা পরিচিত কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলকারীরা 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানের পাশাপাশি 'শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই', 'এই সিলেটের মাটি ছাত্রলীগের ঘাঁটি' সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। তবে সে সময় সড়কে পুলিশ দেখা যায়নি, যান চলাচলও ছিল খুবই কম।
তবে এমন মিছিলের ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক। তিনি বলেন, "এরকম কোনো মিছিলের কথা শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।"
প্রসঙ্গত, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকরা, গোপনে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অধ্যাপক ড ইউনূসের নেতৃত্বাধিন অন্তর্বর্তী সরকার।
এ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, "সরকার 'সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯' এর ধারা ১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল এবং ওই আইনের তফসিল-২ এ 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ' নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করল।"
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনাসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।