চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশে চোখের যত্ন ও পরিষেবা সম্প্রসারণে অরবিস ইন্টারন্যাশনালকে সহযোগিতা ও এর সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সঙ্গে এক বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে চোখের যত্নের সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। এজন্য আমরা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেরেক বাংলাদেশ সফর করছেন। এখন চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেকে গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন। এ সময় অরবিস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। অরবিস প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ উপস্থাপন করেন এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
অরবিস ১৯৮২ সালে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি সংরক্ষণ কর্মসূচি শুরু করে। গত ৩৯ বছর ধরে এটি বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। অরবিস বর্তমানে বাংলাদেশে ১১তম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ডেরেক বলেন, এই সময়ের মধ্যে অরবিস কমিউনিটি আউটরিচ ইভেন্টে ৭.৮ মিলিয়নেরও বেশি চোখের স্ক্রিনিং পরিচালনা করেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিকে ওষুধ ও অপটিক্যাল চিকিৎসা দিয়েছে, ২ লাখ ৫৮ হাজারেরও বেশি চোখের সার্জারি করেছে এবং বাংলাদেশের ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে চোখের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
ড. ইউনূস বাংলাদেশে চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে অরবিসের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'আমি অরবিসকে ভালোবাসি। আমি ফ্লাইং আই হসপিটালকে ভালোবাসি।'
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণভাবে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নিয়ে বসবাস করছে উল্লেখ করে ডেরেক বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিস জোরদার ও টেকসই চোখের যত্ন ব্যবস্থা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।