এস আলমের ঋণ জালিয়াতি: ইসলামী ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে একটি দল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞসাবাদ চলে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কেউই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
এই পাঁচ কর্মকর্তা হলেন ব্যাংকটির ইসি কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম উদ্দিন, পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল করিম ও খুরশীদ-উল-আলম, ইসি সদস্য নাজমুল হাসান ও শরীয়া মেম্বার সেক্রেটারি ডক্টর আবদুস সামাদ।
এছাড়া এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, পরিচালক অধ্যাপক কাজী শহীদুল আলম, ইসি কমিটির সদস্য ও স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মো. ফসিউল আলম ও ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমদকেও আজ জিজ্ঞসাবাদ করার কথা ছিল। তবে তারা কেউই দুদকে হাজির হননি।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর ব্যাংকের এই পাঁচ কর্মকর্তাদের তলব করে চিঠি দেয় দুদক।
আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকটির আরও ১৭ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। চিঠিতে তাদের দুদকে হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে ব্যাংকটির চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, ঘুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরী ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্ত কর্মকর্তার ভূমিকার বিষয়ের বিস্তারিত তথ্যও সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যান্যরা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করেছে।
এর আগে গত ২১ আগষ্ট এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।