আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অপরাধ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রইস উদ্দিন জানিয়েছেন, ভৈরব ও চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার যৌথ অভিযানে কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে চন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, একটি হেলমেট, কমলা রঙের টি-শার্ট এবং কালো প্যান্ট পরা অবস্থায় চন্দন রাঙ্গাম সিনেমা হলের পাশে সংঘর্ষের সময়ে সাইফুল ইসলামকে একাধিকবার ভোজালি দিয়ে আক্রমণ করছেন।
রইস উদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডের পর চন্দন আত্মগোপন করেন। পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তার অবস্থান ট্র্যাক করে এবং রাত ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং আজ তাকে আদালতে পেশ করা হবে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন হোসেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চন্দনকে আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
চন্দন চট্টগ্রাম কতোয়ালী থানার বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির ধারী বর্মণের ছেলে। পুলিশ জানায়, গতকাল চট্টগ্রাম থেকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে এসে ঘোরাঘুরি করছিলেন চন্দন। তার পরিকল্পনা ছিল, রাত গভীর হলে স্থানীয় মেথরপট্টিতে তার শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেবেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সকাল ১১টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপরই কয়েকশ ইসকন সমর্থক আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজন ভ্যান প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময়কে কারাগারে নিয়ে যায়।
তারা চিন্ময়কে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি ঘেরাও করে আটকে রাখেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলেও তারা পথ অবরোধ করে রাখেন। তারা প্রিজনভ্যানের চাকাও পাংচার করে দেন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে কয়েকজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলিফকে আদালতের মূল ফটকের প্রবেশমুখের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।