১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সমস্যা সমাধান হবে: আসিফ নজরুল
১৫ ডিসেম্বর থেকেই এমআরপি পাসপোর্ট পাবেন প্রবাসীরা জানালেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আজ বুধবার এক ফেসবুক লাইভে বুধবার এক ফেসবুক লাইভে আসিফ নজরুল বলেন, "আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে আপনারা এমআরপি পাসপোর্ট পাওয়া শুরু করবেন এবং আবেদনকারীরা পরবর্তী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সবাই পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।"
তিনি আরও বলেন, "প্রথমে সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়াকে প্রাধান্য দিয়ে পাসপোর্ট ছাপা হবে | এরপর যেসব দেশে চাহিদা বেশি সেসব দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাসপোর্ট দেওয়া হবে | এত পরিমাণ এমআরপি পাসপোর্ট ছাপা হচ্ছে যে আগামী দুই থেকে তিন বছরে আর কোনো সমস্যা হবে না।"
বর্তমানে মালয়েশিয়ায় এমআরপি পাসপোর্ট নবায়নের জন্য ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী আবেদন করেছেন। অবশ্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানিয়েছে, এমআরপি আবেদন প্রিন্টিংয়ে অপেক্ষমাণ থাকা আবেদনকারীরা ফি জমা দিয়ে আবেদন করলে দ্রুত ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে।
কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এমআরপির বুকলেট, লেমিনেশন ফয়েল পেপার ঘাটতি ও এমআরপির প্রিন্টিং মেশিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট প্রিন্ট হতে দেরি হচ্ছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন হাজারো প্রবাসী। পাসপোর্ট না থাকায় কেউ কেউ এরই মধ্যে অবৈধ হয়ে পড়েছেন, অনেকে রয়েছেন অবৈধ হওয়ার ঝুঁকিতে। এমন অবস্থায় নতুন করে ই-পাসপোর্ট নিতে প্রতিদিনই আবেদন করছেন অনেকে।
হাইকমিশন নিজে থেকে অন্তর্বর্তীকালীন একটি সমাধানও বের করেছে। বলা হয়েছে, এমআরপির জন্য যারা আগে আবেদন করেছেন তাদের সেই ব্যাংক স্লিপ কপির সঙ্গে অতিরিক্ত ৫১ রিঙ্গিত জমা দিলে এমআরপির জন্য অপেক্ষায় না রেখে ই-পাসপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, " ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে যে মন্ত্রী ছিলেন তিনি পাসপোর্ট ছাপানোর দায়িত্ব তার একটি পরিচিত কোম্পানিকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সে প্রক্রিয়ায় টেন্ডারিং করতে গিয়ে দেড় বছর সময় ক্ষেপণ হয়।"
তিনি আরও বলেন, "তারপর আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর পুরো প্রক্রিয়াটা বাতিল করে আবার শুরু করতে সময় লেগেছে, এতে আপনাদের অনেক কষ্ট হয়েছে। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।"
দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংকটটির একটি অন্তর্বর্তী সমাধান বের করতে গতকাল জরুরি বৈঠক বসেছিলেন পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন উপদেষ্টা। বৈঠকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে ৩ লাখ পাসপোর্ট বুক সংগ্রহের কথা জানিয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, অপেক্ষমাণ এক লাখ ৯০ হাজার পাসপোর্টের একটি বড় অংশ ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যেই বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। বাকিটা আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে পৌঁছানো হবে বলে জানানো হয়।