জুলাই অভ্যুত্থানে চোখ ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৭৫% আন্দোলনকারী বিষণ্ণতায় ভুগছেন: জরিপ
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত প্রায় ৭৫ শতাংশ রোগী বিষণ্ণতায় ভুগছেন বলে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এক জরিপে উঠে এসেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে 'দৃষ্টি ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক' ওয়ার্কশপে এ তথ্য জানান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুনতাসির মারুফ।
তিনি বলেন, "জুলাই অভ্যুত্থানে আহত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৫৫ জন পুরুষ রোগীর মানসিক অবস্থা নির্ধারণের জন্য সম্প্রতি আমরা একটি জরিপ করেছি।"
জরিপে দেখা গেছে, আহতদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশেরই (৭৪.৫%) বিষণ্ণতার উপসর্গ রয়েছে। এর মধ্যে এক-চতুর্থাংশের (২৭.৩%) বেশি রোগীর বিষণ্ণতা খুবই তীব্র মাত্রার। প্রায় অর্ধেকের বেশি রোগীর মৃদু থেকে খুবই তীব্র মাত্রার উদ্বেগ (৫৪.৫%) এবং স্ট্রেস বা মানসিক চাপ (৫৮.২%) এর উপসর্গ রয়েছে।
ড. মুনতাসির মারুফ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে দুই চোখের দৃষ্টি হারানো, এক চোখের দৃষ্টি হারানো বা দৃষ্টিশক্তি আছে, কিন্তু চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে— এমন রোগীরা আছেন। এর মধ্যে ছাত্র ও অন্যান্য পেশার মানুষ আছেন।"
অনুষ্ঠানে জানা যায়, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দিতে পুরুষ রোগীদের জন্য ১০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড এবং নারী রোগীদের জন্য ১০ শয্যার আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে।
এছাড়া, সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন অফিস সময়ে অভ্যুত্থানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিশেষ কাউন্সেলিং/সাইকোথেরাপি সেবার ব্যবস্থা রয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত মোট ৬০ জন রোগী বর্তমানে জাতীয় চক্ষুবিদ্যা ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।