বেতন দিতে না পারায় বেক্সিমকোর কারখানায় সাময়িক ছুটি ঘোষণা
বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকদের গেল নভেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। বেতন দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে গত শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কারখানা সাময়িক ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বেতন পরিশোধের পর বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) নোটিশ দিয়ে পুনরায় কারখানাগুলো চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
ছুটি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
জানা যায়, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারাবো এলাকায় অবস্থিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের নভেম্বর মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। কিন্তু সেদিন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়া হলেও সাধারণ শ্রমিকদের বেতন বকেয়া রাখা হয়। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় অবস্থিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিতরে বেশ কিছু শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নভেম্বর মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, "মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে, তারা হয়তো এ সপ্তাহের শেষ দিকে (বৃহস্পতিবার) শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পারবে। এ সময়ের মধ্যে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য কারখানার শ্রমিকদের আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাময়িক ছুটি দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "কারখানার অভ্যন্তরে কয়েকটি সেকশনের কাজ চলমান রয়েছে। বাকিগুলোর কাজ বন্ধ রয়েছে। কারখানার পরিবেশ বর্তমানে শান্তিপূর্ণ।"
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, "বকেয়া বেতন নিয়ে যাতে শ্রমিকদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ বা আন্দোলন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য শ্রমিকদেরকে সাময়িকভাবে গত শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বেতন পরিশোধের পর মালিকপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিশ দিয়ে আবার কারখানা চালু করবে।"
"এখনো পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা ধৈর্যের সাথে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেছেন। আশা করা যায়, তারা বাকি সময়টুকু ধৈর্য ধরে মালিকপক্ষকে সহযোগিতা করবেন," যোগ করেন তিনি।