সড়ক দুর্ঘটনায় বুয়েট-ছাত্র নিহতের ঘটনায় ৩ আসামি কারাগারে
রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে সাবেক সেনা কর্মকর্তার নামে নিবন্ধিত ব্যক্তিগত গাড়ির ধাক্কায় চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে থাকা বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালত এ আদেশ দেন।
গাড়িটি চালাচ্ছিলেন মুবিন আল মামুন (২০)। তিনি সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে। তাকেসহ গাড়ির দুই আরোহী মিরাজুল করিম (২২) এবং আসিফ চৌধুরীকে (২০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আগামী রোববার আসামীদের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করীম খান রেজা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ৩০০ ফিট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ (২২) বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মাসুদ মিয়ার বাসিন্দা।
এ দুর্ঘটনায় তার দুই সহপাঠী আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আহতরা হলেন, কুমিল্লার মফিজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান এবং ময়মনসিংহের তপন কুমার সাহার ছেলে অমিত সাহা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম জানান, নিহতের বাবা সড়ক পরিবহন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। 'দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। এটির ভেতর থেকে বিয়ার এবং মদের বোতল পাওয়া গেছে।'
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার ছেলে মুবিন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে মুহতাসিম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে ৩০০ ফিট সড়কে যান। নীলা মার্কেটে রাতের খাবার শেষে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ চেকপোস্টে তাদের থামানো হয়। রাত তিনটার দিকে চেকপোস্টে দাঁড়ানো অবস্থায় বেপরোয়া গতির একটি প্রাইভেট কার তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মুহতাসিম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় আহত মেহেদী হাসান স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত সাহা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার বিকেলে তিন আসামীকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মুবিনের পরিবারের সদস্য এবং নিহত মুহতাসিমের বন্ধুরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত আসামীদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।