৪ ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ তুলে নিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
প্রশাসনের আশ্বাসে প্রায় ৪ ঘণ্টা পর মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিলেন রুয়েট শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সোয়া দুইটার দিকে তারা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলো। এতে সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়।
প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে এসে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ বিল্লাহ রিফাত ও মাহফুজুর রহমান ব্রিফ করে বলেন, "ছুটি থাকায় মেডিকেল রিপোর্ট না পৌঁছানোতে আসামিদের জামিন দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন আমাদের ব্যাপারে আন্তরিক। ন্যায্যতার ভিত্তিতে তারা কাজ এবং আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে সর্বোচ্চভাবে কাজ করবে।"
তারা বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে থানাকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে এবং অন্য যারা হামলার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে আমরা আবার কর্মসূচি দিতে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করার পর জামিন দেওয়ার প্রতিবাদে ক্লাশ বর্জন করে পাঁচ দফা দাবিতে নগরীর তালাইমারি এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ শুরু করে করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর ভদ্রা আবাসিক এলাকায় হজের মোড়ে স্থানীয় দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রকি ও আতাউল্লাহ শুভর ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। এতে আতাউল্লাহ শুভর মাথা ফেটে যায়। পরে সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে ফয়সালা করতে গেলে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় দোকানদাররা। ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষকও আহত হয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, এ ঘটনায় রুয়েট প্রশাসন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। এই মামলায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার দুইদিন পর তাদের জামিন দেওয়া হয়। জামিনের প্রতিবাদে এবং সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন হচ্ছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের পাঁচ দফা দাবির বিষয়েও জানান। তাদের দাবিগুলো হলো- হামলার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা ও শাস্তি নিশ্চিত করা, রাজশাহীর আবাসিক এলাকাগুলো অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করা,বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এলাকাগুলিতে চুরি, ছিনতাই মুক্ত করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুয়েটের আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল নিশ্চিত করা এবং তালাইমারীতে পুলিশ বক্স স্থাপন করা।