থানা থেকে আসামি ছিনতাই: বহিষ্কার যুবদল নেতা, মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ৩
মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর থানায় মারামারির মামলায় আটক উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে এঘটনার পর প্রত্যাহার করা হয়েছে শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরী।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার সামসুল আলম সরকার জানান, মামলা দায়েরের পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ঘটনায় জড়িত ছিল বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত যুবদল নেতা তরিকুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক পদ সহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।
শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পেশিশক্তি প্রদর্শনপূর্বক রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাঁধা দেওয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগ তরিকুলকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের দায়দায়িত্ব দল নিবে না।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে মারামারির মামলার এজহার ভুক্ত আসামি শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য তরিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে থানায় প্রবেশ ও হট্টগোল করে আটককৃতকে ছিনিয়ে নেয় অর্ধশতাধিক বিএনটি নেতাকর্মী। এঘটনায় ঘিরে তৈরি হয় আলোচনা-সমালোচনা ঝড়।
শনিবার এঘটনার বিচারের দাবিতে দুপুরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ব্লকেড করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। তিন ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেয় তারা। পরে বিকালে শ্রীনগর থানার এস আই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে এজহার নামি ৩১জন নামীয় সহ ১৭০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে।
মামলা অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদিন জেমস, সদস্য সচিব মামনুর রসিদ, ছাত্রদল সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শুভ, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমদাদুল ইসলাম রজিন সহ বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতাকর্মী।