সারাদেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা আইনের শাসনের পরিপন্থী: আসক
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/06/ask_ain_o_salish_kendra.jpg)
সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
একই সঙ্গে তারা বলেছে, এ ধরনের কার্যক্রম আইনের শাসন, সমান আইনি সুরক্ষা এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আসক-এর সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'গতকাল ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে সারারাত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা স্থাপনায় চলা ভাঙচুর ও হামলার ঘটনায় আসক তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এই ঘটনাগুলোকে আইনের শাসন, আইনের সমান আশ্রয় লাভ ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের পরিপন্থী বলে মনে করে আসক।'
বলা হয়েছে, 'গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে হামলা এবং ধ্বংস করার মতো একটি ঘোষণা গতকাল দিনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাতে দেখা যায়। এর পরপরই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সেখানে ছাত্র-জনতা নামে একদল লোক জড়ো হয়ে ভাঙচুর, তাণ্ডব, লুটপাট শুরু করে। এক পর্যায়ে সেখানে আগুন দেওয়া হয়।'
আরও বলা হয়েছে, 'প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে উপস্থিত থাকলেও তাদের কোনো তৎপরতা ছিল না, বরং সেনাবাহিনীর দলটি এক পর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এই তাণ্ডব ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন স্থাপনা, বাড়ি ও সম্পত্তিতে ভাঙ্গচুর ও লুটপাট শুরু হয়।'
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আজ (৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকালে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ধানমন্ডির সুধা সদনে লাগানো আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের নিরাপত্তাহীনতার আশংকাও উদ্বেগজনক।'
বলা হয়েছে, 'আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী সকলের আইনের সমান আশ্রয় লাভ, আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার, সম্পত্তির অধিকার ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়ার অনুসরণের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারগুলোর প্রয়োগ নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। এর অন্যথায় সরকারের ব্যর্থতা বলে প্রতীয়মান হওয়ার অভিযোগ উত্থাপনের সুযোগ থাকে।'
আরও বলা হয়েছে, 'প্রতিষ্ঠার জন্মলগ্ন থেকেই আসক মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং নিশ্চিতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যে কোনো সময় মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী যে কোনো কাজেই আসক সোচ্চার ছিল এবং আছে। জুলাই গণঅভ্যূত্থানের মানবাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসনের চেতনার প্রতি আসক পরিপূর্ণ শ্রদ্ধাশীল এবং বলিষ্ঠভাবেই সমর্থন করে '
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আসক মনে করে চলমান তাণ্ডবগুলো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। এছাড়াও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা হুমকিস্বরূপ।'
আরও বলা হয়েছে, 'আসক সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আইন, মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। পাশাপাশি যে কোনো ধরনের কার্যক্রম আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচালনা করা উচিত বলে মনে করে।'