ডিসেম্বর ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি; বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আশা করছে ইউএনডিপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন ধরেই ভোটগ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ১৭টি উন্নয়ন সহযোগী দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।'
নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয়, সেখানে যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ডিসেম্বরে নির্বাচন। আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।'
ডিসেম্বরের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। যদি সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে আমরা দেখব কতটা করা যায়, এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।'
বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আশা করছে ইউএনডিপি
এদিকে জাতিসংঘ বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচনের আশা করছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি—ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
আজ নির্বাচন ভবনে ১৭টি উন্নয়ন সহযোগী দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্টেফান লিলার বলেন, 'একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে আমরা ইসিকে সমর্থন দিচ্ছি। আশা করছি, বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন হবে। এটাই আমাদের চাওয়া। কিন্তু সময়সীমার পরিপ্রেক্ষিতে এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।'
এরকম নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, 'এটা আমার মন্তব্য করার বিষয় নয়।'
লিলার বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের কাছে নির্বাচন আয়োজনে সহায়তার অনুরোধ করেছিল নির্বাচন কমিশন। জবাবে জাতিসংঘ কী ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে পারে, তা নির্ধারণের জন্য জানুয়ারিতে দুই সপ্তাহের জন্য একটি চাহিদা মূল্যায়ন দল বাংলাদেশ সফর করেছিল।
'সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছি,' বলেন তিনি।
এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটগুলোর উন্নতি করা এবং ভোটার নিবন্ধন বাড়ানো। সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি ভোটার শিক্ষা কর্মসূচিও বিবেচনাধীন রয়েছে।