এক সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগ আমলের ১,২১৪ মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/11/asif.jpg)
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া এক হাজার ২১৪টি মামলা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। এর মধ্যে ৫৩টি মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত গেজেট দুয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে। এসব মামলাকে সরকার রাজনৈতিক হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা বলে মনে করছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।
আসিফ নজরুল জানান, পর্যায়ক্রমে মোট ১৬ হাজার ৪২৯টি এ ধরনের গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি বলেন, ১৬ হাজার ৪২৯টি মামলার তালিকা করা হয়েছে। এসব মামলার রেকর্ড ঘেঁটে দেখা হচ্ছে যে কোনোটা প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা কি না। নাকি কোনো অনিয়ম বা কারচুপি করে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যক্তির মামলা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মামলা প্রত্যাহারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় একসাথে কাজ করছে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গায়েবি মামলা হচ্ছে আওয়ামী লীগ আমলে নিপীড়নের উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলা।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রত্যাহার হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত সব মামলা
আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে কথা বলা বা লেখালেখির কারণে (স্পিচ অফেন্স) ৩৯৬টি মামলা করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় পাবলিক প্রসিকিউটরদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৩৩২টি মামলা প্রত্যাহার করেছে। ৬১টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটাও আগামী তিন-চার কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। ফেব্রুয়ারি মাস যখন শেষ হবে তখন স্পিচ অফেন্স সংক্রান্ত আর কোনো মামলা সাইবার সিকিউরিটি আদালতে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, তবে তিনটি মামলা আমরা প্রত্যাহার করতে পারবো না। কারণ উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেগুলো স্থগিত রয়েছে।
পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা সংশোধন
আসিফ নজরুল জানান, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালার সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধন অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশিদের যদি বাংলাদেশি পাসপোর্ট নাও থাকে, তাহলেও তারা তাদের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন করতে পারবেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির পাসপোর্টে নো ভিসা রিকয়্যার স্টিকার থাকলে, কিংবা তার জন্মসনদ থাকলে কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলে তিনি বিদেশ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের ভোগান্তি কমবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বিধিমালা নিয়ে প্রবাসীরা প্রচুর অভিযোগ করতেন। এই বিধিমালা অনুযায়ী কেউ যদি পাওয়ার দিতে চাইতো তবে তার পাসপোর্ট থাকতে হতো, বাংলাদেশের দূতাবাসে গিয়ে তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হতো। প্রবাসীদের সন্তানরা অনেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেন না। তাই উনাদের পক্ষ থেকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি হতে গেলে অনেক জটিলতা হতো। এই জটিলতা দূর করতে সংশোধন করা হলো।