ক্ষমতায় টিকতে সাবেক সরকারের অত্যাচারের কৌশল সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল: ভলকার তুর্ক
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/untitled-1_muualir.jpg)
জনতার বিরোধিতার মুখে সাবেক সরকারের অত্যাচারের কৌশল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, "এটি বিশ্বাস করার যথাযথ কারণ রয়েছে। শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ব্যাপক হারে আকস্মিক গ্রেপ্তার এবং আটক এবং নির্যাতন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞান, সমন্বয় এবং দিকনির্দেশনার মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছিল। এসব আন্দোলন দমনের কৌশলের অংশ ছিল।"
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সরকারের নৃশংসতা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন।
ভলকার তুর্ক বলেন, "আমরা যে সাক্ষ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, তা রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং উদ্দেশ্যমূলক হত্যাকাণ্ডের একটি উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরেছে। এসব চিত্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অন্যতম গুরুতর উদাহরণ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের মধ্যে পড়ে থাকতে পারে। জাতীয় মীমাংসা এবং ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশে ন্যায্যতা এবং দায়বদ্ধতা অপরিহার্য।"
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশে একটি দল পাঠায়। এই দলে ছিলেন– মানবাধিকার তদন্তকারী, ফরেনসিক চিকিৎসক এবং অস্ত্র বিশেষজ্ঞ। তারা বিধ্বংসী ঘটনাগুলোর সম্পর্কে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করেন।
অন্তর্বর্তী সরকার তদন্তটির প্রতি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদানে সাড়া দেয়, প্রয়োজনীয় প্রবেশাধিকার প্রদান করে এবং বিস্তৃত ডকুমেন্টেশন সরবরাহ করে।
আন্দোলন মোকাবিলা এবং অন্যান্য বিষয়ের সাথে সরাসরি জড়িত থাকা সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো জানিয়েছে, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা একটি বড় আকারের সিরিজ অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তদারকি করেছিলেন। সেখানে নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা বাহিনী আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যা করত অথবা তাদের অকারণে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করত।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর আন্দোলনকারীদের ইচ্ছাকৃতভাবে এবং বেআইনিভাবে হত্যা বা আহত করার কিছু নিদর্শন রয়েছে। এর মধ্যে এমন ঘটনাও ছিল, যেখানে লোকজনকে কাছ থেকে (পয়েন্ট ব্ল্যাংক) গুলি করা হয়েছিল।