উৎকণ্ঠার মধ্যেই আজ চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন
উৎকণ্ঠার মধ্যেই আজ রোববার চতুর্থ ধাপে ৮৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট হচ্ছে। দেশের ৫৮টি জেলার ১১৮টি উপজেলার হচ্ছে এই নির্বাচন। ভোটের আগে প্রচার-প্রচারণার সময়ই বিভিন্ন ইউপিতে সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
এই ধাপে ৮৩৮ ইউপিতে নির্বাচন চললেও চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে ৭৯০টি ইউপিতে। কারণ এ ধাপে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ৪৮ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ৭৯০ ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩,৮১৪ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১১২ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৩৫ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
এরা বাদে সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৯,৫১৩ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে ৩০,১০৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আগের ধাপগুলোর মতোই চতুর্থ ধাপেও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার প্রচারের শেষ দিনেও বিভিন্ন এলাকায় সহিংস ঘটনা ঘটেছে।
সহিংসতার আশঙ্কায় এদিন সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা মাঠে ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্যও মোতায়েন করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুক্রবার ভোলার পশ্চিম ইলিশা ও রাজাপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর, ময়মনসিংহের গৌরীপুর, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা ঘটে। এতে অসংখ্য আহত হয়েছে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ৪৪২টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮৭ জন মারা গেছেন।
এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভেঙে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে এই সব এলাকায়।
চতুর্থ ধাপে ৮৩৮ ইউপির মধ্যে ৮০০ ইউপিতে কাগজের ব্যালট এবং ৩৮টিতে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে।