ইভ্যালির লকার থেকে ব্ল্যাঙ্ক চেকবই উদ্ধার
বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ধানমন্ডি অফিসের দুই লকারের একটি থেকে কয়েকটি ফাঁকা চেকবই উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসফিয়া সিরাতের উপস্থিতিতে হাইকোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা কমিটি লকারটি খোলেন।
প্রথম লকার থেকে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৯৭টি ও সিটি ব্যাংকের ১০টি চেকবইসহ আরও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ দুপুরে ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। বেলা ৩টার দিকে ইভ্যালির কার্যালয় থেকে লকারগুলো বের করা হয়।
লকার ভাঙার জন্য ইভ্যালি কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিযুক্ত সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন।
এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জানান, ইভ্যালি প্রধান মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে লকারগুলোর কম্বিনেশন নম্বর প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি আরও বলেন, কোর্টের এই আদেশের পরও লকার দুটির পাসওয়ার্ড পায়নি কমিটি। সে কারণেই লকার ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
"আমরা ইতোমধ্যে একটি লকার ভেঙেছি এবং বেশ কয়েকটি চেকবই পেয়েছি। কিন্তু আমরা হতাশ, কারণ এগুলোর আর মেয়াদ নেই। অপর লকারটিও ভাঙা হবে এবং জানা যাবে এতে কী আছে," গণমাধ্যমকে বলেন তিনি।
গত বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন বের হওয়ার পর ইভ্যালির বিতর্কিত ব্যবসায়িক কৌশল সবার সামনে আসে।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একটি আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পর এই দম্পতির মোহাম্মদপুরে বাসায় অভিযান চালিয়ে র্যাব তাদের আটক করে।
এক গ্রাহকের দায়ের করা মামলায় রাসেল এবং শামীমাকে গ্রেপ্তারের দুইদিন পর একজন সরবরাহকারী এই দম্পতিসহ ইভ্যালির আরও ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ইভ্যালির এই অব্যবস্থাপনার মাঝেই সরকার গত ২৬ অক্টোবর ই-কর্মাস প্ল্যাটফর্মটির দেখাশোনা করার জন্য আমলাসহ বহিরাগত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি গভর্নিং বোর্ড গঠন করে দেয়।