বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ)। একইসঙ্গে দিনটি জাতীয় শিশু দিবসও।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন।
কারাগার ও কারাগারের বাইরে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যখন ভাষা আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয় তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে অনশন পালন করেন।
ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব বড় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু তার গতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
বঙ্গবন্ধু যখন সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন পরাজিত ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত 'মুজিববর্ষ' হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া দেশের সব মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সকালে দলটির সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
বিকাল ৩টায় দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা।
টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীও পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য 'বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সব শিশুর সমান অধিকার'।