সঞ্চালনে অপ্রতুল বরাদ্দ ঢেকে দিতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাফল্য
উদ্বৃত্ত বিদ্যুতের জন্য অলস বসে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে সরকারকে। তার মধ্যেই সঞ্চালন ও ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোর বদলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আরও বেশি ব্যয় করে চলেছে সরকার।
পরিকল্পনা বিভাগের বহুবার্ষিক সরকারি বিনিয়োগ কর্মসূচির বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, ২০২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাজেটের ৫৪ শতাংশের বেশি খেয়ে ফেলেছে দুটি বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প। অথচ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আরও ৮৫টি প্রকল্প পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পায়নি। ফলে ওসব প্রকল্প বাস্তবায়নে অতিরিক্ত বিলম্ব হতে পারে।
২০২২ অর্থবছরের জন্য মোট সংশোধিত এডিপি বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ২১৪ কোটি টাকা।
বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলোর জন্য ব্যয়ের প্রোফাইলের ভিত্তিতে ৮৫টি প্রকল্পের জন্য আরএডিপি বরাদ্দ প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পগুলো তুলনামূলক কম অর্থায়ন পেয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই বাজেট বরাদ্দ কমেছে মূলত ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এবং ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ের মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের অন্তর্ভুক্তির কারণে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের বর্ধিত ব্যয় নির্বাহের জন্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এবং তার পরেও এডিপির বাজেটসীমা ১০ শতাংশের বেশি বাড়াতে হবে।
তা না হলে সম্ভবত পুরো খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০কেভি (কিলোভোল্ট) সঞ্চালন লাইন প্রকল্পটি অপ্রতুল তহবিল পাওয়া প্রকল্পের দৃষ্টান্ত। দেশের উত্তরাঞ্চলে মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি প্রায় ১২ শতাংশ। আরএডিপিতে এর বাজেট বরাদ্দ কমেছে ১৮ শতাংশ। ফলে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও বিলম্ব হতে পারে।
প্রকল্প পরিচালক এসকে জাকিরুজ্জামান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা যদি প্রয়োজন অনুযায়ী সময়মতো বরাদ্দ পাই, তাহলে ২০২৪ সালের বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে এ প্রকল্প সম্পন্ন করতে পারব।'
এদিকে আশুগঞ্জের পুরনো ১২৪ কেভি এআইএস সাবস্টেশনের বদলে নতুন ১৩২ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন তৈরির যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, সংশোধিত এডিপিতে ওই প্রকল্পের বরাদ্দ কমেছে ৯০ শতাংশ।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য আশুগঞ্জ পুরাতন সাবস্টেশনকে আধুনিকীকরণ করা, যাতে জাতীয় গ্রিড ফেইলিউরের সম্ভাবনা কমানো যায় এবং ঢাকা তথা আশুগঞ্জ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
২০১৮ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া প্রকল্পটির অগ্রগতি মাত্র ২৫ শতাংশ। অবশিষ্ট কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
যেসব প্রকল্প শেষের পর্যায়ে আছে, সেগুলোতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিলে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব কিছুটা হলেও এড়ানো যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
আর্থিক দিক থেকে, এই প্রকল্পগুলোতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট বাজেটের ৬ শতাংশ বরাদ্দ করা হলে এ খাতের ১৯টি প্রকল্প ২০২৩ অর্থবছরে শেষ করা যেতে পারে ।
আরএডিপি ২০২১-২২-এ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের জন্য ৮৯টি চলমান প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প আছে ছয়টি। ৮৯টি প্রকল্পের মধ্যে ৭৯টি বিদ্যুৎ উপখাতের এবং ১০টি জ্বালানি উপখাতের।
২০২২-২৫ সাল পর্যন্ত থাকবে তহবিল ঘাটতি
চলমান প্রকল্পগুলো ২০২২ অর্থবছর থেকে ২০২৫ অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাবে না।
এই সময়কালে চলমান প্রকল্পগুলোর জন্য যে পরিমাণ বাজেট লাগবে, তা প্রকল্পের বাজেটসীমার চেয়ে বেশি। ২০২৩ অর্থবছরের বরাদ্দ প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৩ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা, অথচ প্রকৃত চাহিদা ৭৩ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। একইভাবে ২০২৪ অর্থবছরে তহবিল ঘাটতির পরিমাণ ৩০ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। আর ২০২৫ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকার উদ্বৃত্ত তহবিল থাকবে বলে জানানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের বিশ্লেষণে।
বেশি বরাদ্দ পাওয়া নয় বিদ্যুৎ প্রকল্প
২০২১-২১-এর আরএডিপিতে ২০২২ অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত আর্থিক বাজেটে যে পরিমাণ বরাদ্দের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, তার চেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দ পেয়েছে বিদ্যুৎ খাতের মোট ৯টি প্রকল্প, যা মোট প্রকল্পের ১০ শতাংশ।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে—আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার ইভাকুয়েশন ফ্যাসিলিটিজ, গ্রামীণ এলাকায় ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ, ডিপিডিসির অধীনে নতুন সাবস্টেশন নির্মাণ, ৫ লাখ প্রিপেমেন্ট মিটার স্থাপন এবং বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা।
পরিকল্পনা বিভাগ বলেছে, এটি ইঙ্গিত দেয় যে বাস্তবায়নের অন্যান্য উপাদান ও পরিস্থিতি না বদলালে এই প্রকল্পগুলো আরও গতি পাবে।
বিশ্লেষণে এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন-গতি বাড়ার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও পরিকল্পনা বিভাগ বলছে, এসব প্রকল্প ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) বলা সমাপ্তির তারিখের চেয়ে বিলম্বিত হতে পারে।
চারটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন আগে হবে বা ডিপিপিতে বলা সময়ের মধ্যে হবে। এ প্রকল্পগুলো হচ্ছে—জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ ও ভেড়ামারা কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প।
সঞ্চালন লাইনের অভাবে বাড়ছে অব্যবহৃত সক্ষমতা
২০২০-এর ডিসেম্বর থেকে দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় ৭০ শতাংশ সক্ষমতা প্রয়োজনীয় সঞ্চালন লাইনের অভাবে অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পটুয়াখালী (পায়রা)-গোপালগঞ্জ-মাওয়া-আমিনবাজার ৪০০ কিলোভোল্ট ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের কথা ছিল।
কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদনকাজ শুরু হলেও সঞ্চালন লাইনের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) কর্তৃক নির্মীয়মাণ সঞ্চালন লাইনটির এখন পর্যন্ত মাত্র অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকার সাথে এই লাইনের সংযোগ স্থাপনের জন্য পদ্মা নদীর ওপর বসাতে হবে সাতটি টাওয়ার।
এ বিষয়ে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষকে পদ্মা নদীর ওপর ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল'।
তিনি বলেন, 'সেতু নির্মাণের কাজকে প্রাধান্য দিতে যেয়ে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সঞ্চালন লাইনের কাজে দেরি করে। সম্প্রতি তারা নদীতে বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।'
গোলাম কিবরিয়া জানান, টাওয়ারের কাজ চলছে।
'ইতোমধ্যে সাতটি টাওয়ারের মধ্যে দুটি স্থাপন করা হয়েছে। বাকি পাঁচটি চলতি বছরের মাঝামাঝিতে নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ,' বলেন তিনি।
তবে নদীর দুপাশে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ স্থাপন করতে টাওয়ারের কাজ শেষ হওয়ার পর আরও পাঁচ-ছয় মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওয়ার ইভাকুয়েশন ফ্যাসিলিটিজ বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জন্য আরেক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা হলেও পাওয়ার ইভাকুয়েশনের অবকাঠামোগত ফ্যাসিলিটির অগ্রগতি খুব কমই।
গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি মাত্র ২৫ শতাংশ। যদিও ২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে লাইনগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১০ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার ইভাকুয়েশন ফ্যাসিলিটিজের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নকাজ। লাইন অভ ক্রেডিট ফাইন্যান্সের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে এটি।
তবে প্রকল্প পরিচালক কিউএম সফিকুল ইসলামের মতে, সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অপ্রতুল বাজেট কোনো বাধা হিসেবে কাজ করবে না।
তিনি বলেন, 'যোগ্য ঠিকাদার খুঁজে না পাওয়া এবং নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির ফলেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।'
এদিকে, সঞ্চালন লাইনের অভাবে ২ সঞ্চালন ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা নিষ্ক্রিয় রাখলে তা এই প্রকল্পের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম বলেন, 'পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাদেরকে উচ্চমূল্যের তরল জ্বালানি ব্যবহার থেকে মুক্তি দেবে বলে আশা করা হয়েছিল। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাদের কতিপয় ব্যয়বহুল তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতেও সাহায্য করতে পারে। কিন্তু সঞ্চালন লাইনের অভাবে আমরা ন্যূনতম খরচের বিকল্প ব্যবহার করার সুযোগ নিতে পারছি না।'
পর্যাপ্ত সঞ্চালন লাইন ছাড়াই রূপপুর ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে এলে এগুলোর অব্যবহৃত সক্ষমতার কারণে দ্বিগুণ লোকসান গুনতে হতে পারে বলে যোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. এম তামিম বলেন, 'বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো রামপাল থেকে ঢাকা পর্যন্ত পাওয়ার ইভাকুয়েশন লাইন স্থাপন'।
প্রকল্প বিলম্বিত হলে লোকসান বাড়ে
বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে বলে অব্যবহৃত সক্ষমতা স্ট্যান্ডবাই রাখতে হচ্ছে। কিন্তু অলস বসিয়ে রাখা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মালিকদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে ঠিকই। এ কারণে লোকসান গুনছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
২০২০-২১ অর্থবছরে বিপিডিবির লোকসান বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আর ২০১১ অর্থবছরে বিপিডিবির লোকসানের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে লোকসান গুনতে থাকা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সচল রাখতে সরকারকে এ খাতে বিপুল ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। বিপিডিবির কারণে জন্য সরকারের ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে।
২০১১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি দিতে হতো ৪ হাজার ৫১১ কোটি টাকা। ২০২১ অর্থবছরে এ ভর্তুকির পরিমাণ পৌঁছেছে ১১ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকায়।