কলাবাগান খেলার মাঠ: ফেইসবুকে শুভানুধ্যায়ীদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদের বন্যায় ভাসছেন মা-ছেলে
দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা জেলহাজতে কাটাতে হয়েছে নিজেদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার কারণে। এ সময়টুকুতে সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে মোহাম্মদ ঈসা আবদুল্লাহর যেমন কষ্ট হয়েছে, তেমনিভাবে তাদের পরিস্থিতি নিয়ে উৎকণ্ঠিত ছিলেন শুভানুধ্যায়ীরাও।
গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষত ফেইসবুকে এ দুজনের আটকের ঘটনা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। এসব লেখায় মানুষ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, ঘটনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানিয়েছেন।
টানা ১০ ঘণ্টা আটক রাখার পরে মুচলেকা নিয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ রত্না ও আবদুল্লাহকে ছেড়ে দেয়। তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়েন সবাই। এরপর প্রতিবাদের স্থলে জায়গা করে নেয় তাদের প্রতি অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানানোর পোস্ট।
অনেকেই ফেইসবুকে মা-ছেলের মুক্তিতে অভিনন্দনজ্ঞাপন করে পোস্ট করেছেন। সৈয়দা রত্নার পরিচিতজনেরা তার টাইমলাইনে তাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে নানা কিছু লিখছেন। কেউ কেউ আবার তাকে ট্যাগ করেও পোস্ট করছেন।
ফেইসবুকে সৈয়দা রত্নার প্রোফাইল ঘুরে দেখা যায়, কেবল গত এক ঘণ্টাতেই তাকে নিয়ে ১০টির বেশি পোস্ট করেছেন তার ফেইসবুক বন্ধু ও অনুসারীরা। তারও অনেক আগে থেকেই তার টাইমলাইনে অভিনন্দন, ধন্যবাদ, ও লাল-সালামের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন সবাই।
এর আগে গ্রেপ্তারে খবরের পর তার টাইমলাইনে একইভাবে প্রতিবাদমূলক পোস্ট করতে শুরু করেন ফেইসবুক বন্ধুরা। তারা রত্না ও তার ছেলের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।
সৈয়দা রত্নার ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে দেখা যায়, গতকাল রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে ফেইসবুকে এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের জন্য লাইভে তেঁতুলতলা মাঠের পরিস্থিতি সম্প্রচার করেন তিনি। তার ওই লাইভ ভিডিওতে অনেক পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়।
ওই মাঠে এত পুলিশের উপস্থিতির বিষয়ে সৈয়দা রত্না ভিডিওতে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এসময় কয়েকজন ব্যক্তিকে তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তারা উগ্রস্বরে রত্নাকে ভিডিও বন্ধ করতে বলেন। এরপর কয়েকজন পুলিশ সদস্যকেও এগিয়ে এসে ধমকের সুরে ভিডিও বন্ধ করার আদেশ দিতে দেখা যায়।
গতকালের পর থেকে এরপর আর সৈয়দ রত্নার ফেইসবুকে তার ব্যক্তিগত কোনো অ্যাক্টভিটি পাওয়া যায়নি। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো ক্রমাগত অভিনন্দনেই ডুবে আছে তার ফেইসবুক।