তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত টিটিই শফিকুল
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে সম্পূর্ণ নির্দোষ ঘোষণা করেছে তদন্ত কমিটি।
রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের সময় তিন যাত্রীকে জরিমানা করায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয় শফিকুল ইসলামকে।
সোমবার (১৬ মে) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে নিজ কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা নেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শহিদুল ইসলাম। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি ৪০ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন জমা দেন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি কেবিনে বিনা টিকিটে ওঠেন তিন যাত্রী। পথিমধ্যে দায়িত্বরত টিটিই টিকিট চেকিংয়ের সময় তাদের কাছে টিকিট চাইলে তারা নিজেদেরকে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন।
অতঃপর টিটিই তাদেরকে জরিমানা করেন এবং নন-এসি কোচের তিনটি নিয়মিত টিকিট দেন। সেই সাথে ওই তিন যাত্রীর কাছ থেকে মোট ১০৫০ টাকা আদায় করা হয়।
এ ঘটনার পর তিন যাত্রী টিটিই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঢাকায় অভিযোগ দাখিল করেন।
যাত্রীদের একজনের মায়ের ভাষ্যমতে, এরপর রেলমন্ত্রীর স্ত্রী পাকশীর ডিসিওকে ফোন দিয়ে টিটিইর সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে যাত্রীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগে টিটিই শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু তীব্র সমালোচনার মুখে গত ৮ মে তাকে আবার স্বপদে বহাল রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
গত ১০ মে খুলনা ছেড়ে যাওয়া চিলাহাটি বাউন্ড রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে নিজ পদে যোগদানের পর টিটিই শফিকুল বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।