১৫ জনের পরিচয় শনাক্ত, বাকিদের শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা কাল থেকে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে আগামীকাল থেকে স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
রোববার (৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আগুনে নিহতদের শরীর বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। স্বজনেরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে ১৫ জনকে তাদের স্বজন বলে নিশ্চিত করেছেন। বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করতে আগামীকাল থেকে স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে।'
১১ জনের পরিচয় টিবিএস-এর কাছে এসেছে। এরা হলেন কারখানা শ্রমিক, বাঁশখালীর মবিনুল (২২); সীতাকুণ্ডের আফজাল হোসেন (৩৩); নোয়াখালীর মো. সুমন (২৮); নরসিংদীর মো. ইব্রাহীম (২৭); পিরোজপুরের ফারুক জমাদ্দার (৫৫); মৌলভীবাজারের মো. নয়ন (২২); মিরসরাইয়ের শাহাদাত হোসেন (২৯)।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন মনিরুজ্জামান (৫০), হাবিবুর রহমান (১৯), মোমিনুল হক (২৪), ও মহিউদ্দিন (২২)।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী টিবিএসকে বলেন, '৪৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি। ৪১ জনের মরদেহ চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯০ জনের বেশি। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ১৫ জন, জেনারেল হাসপাতালে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।'
গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। ওই সময়ই সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের আরও অনেকগুলো ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণে কনটেইনার ডিপোর আশপাশের তিন থেকে চার কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও আশপাশের শতাধিক ঘরবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। কনটেইনারে রাসায়নিক দ্রব্য থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।