কক্সবাজার বাঁকখালী নদী দখল: ৫ সচিবসহ ১৫ জনকে আদালত অবমাননার নোটিশ
হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর পাশের প্যারাবন কেটে নদী দখল, কক্সবাজার পৌরসভার সব আবর্জনা নদীতে ফেলে দূষণ অব্যাহত রাখা এবং দখলদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাঁচ সচিবসহ ১৫ জনকে আদালত অবমাননার আইনি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব; জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান; চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক; কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক; কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও); পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক; কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক; কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র; কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)- এই ১৫ জনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার বেলার পক্ষে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না।
এতে আগামী ১৬ জুন সকাল ১০ টার মধ্যে এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ বেলার আইনজীবীকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অবমাননার অভিযোগে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।
নোটিশে বলা হয়েছে, অবৈধ দখল ও দূষণ থেকে রক্ষা করে বাঁকখালী নদীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বেলা ২০১৪ সালে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করে। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এক অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনায় বাঁকখালী নদীর পাশের প্যারাবন কেটে নদী দখল বন্ধ করে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও কক্সবাজার পৌরসভার সব আবর্জনা নদীতে ফেলা বন্ধ করতে মেয়রকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়াও চিংড়ি বা তামাক চাষের উদ্দেশ্যে উল্লিখিত নদীর যেকোনো অংশ বা নদীতীর কাউকে ইজারা দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বাঁকখালী নদীকে কেন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে না এবং সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলদার ও দূষণকারীর হাত থেকে কেন নদীকে সংরক্ষণ করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল।
বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের ওপর এখনো শুনানি চলমান রয়েছে।