বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন সিলেটের লাখো মানুষ
বন্যা কবলিত ছাতক ও সুনামগঞ্জের পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কুমারগাঁও গ্রিড সাব-স্টেশনের সুইচবোর্ড ডুবে যাওয়ায় সিলেট এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
"বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হবে," মন্ত্রী বলেন।
বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৭ জুন) সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আইএসপিআরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই এলাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি বিবেচনায় ১৯ জুন থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কয়েকদিন ধরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে প্লাবিত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ।
সিলেটের পাঁচটি উপজেলা সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এই অঞ্চলে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এসব উপজেলার অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অনেক সরকারি অফিস প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর, তেরোতন, সন্ধানী ঘাট, কালীঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
শুধু সিলেট নয়, সুনামগঞ্জের নবীনগর, পশ্চিম তেঘরিয়া, উত্তর অর্পিন নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার বিকেলে নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।