বাংলাদেশকে ২ লাখ টন গম রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া: খাদ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে ২ লাখ টন গম রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে একথা জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য শফিউল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের কারণে বিভিন্ন খাদ্য শস্যের পাশাপাশি গম ও আটার দাম বেড়েছে।
"এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গম রপ্তানিকারক বিভিন্ন দেশের সাথে আমদানির জন্য যোগাযোগ করছে। এরমধ্যেই ২ লাখ টন গম রপ্তানির প্রস্তাবও দিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ভারত থেকে গম আমদানির জন্য দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে।"
বুধবার (২২ জুন) দেশের বাণিজ্য ও অনান্য বিভাগের সরকারি কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানান, বাংলাদেশে গমের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী ভারতের গম রপ্তানি নিষিদ্ধের পর ঘাটতি মোকাবিলায় রাশিয়ার সঙ্গে জি-টু-জি (দুই দেশের সরকারের মধ্যে) চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম রপ্তানিকারক রাশিয়ার সাথে চুক্তির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববাজারের উচ্চ দামের চেয়ে সুলভ মূল্যে আমদানি করে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে পারবে।
বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৭০ লাখ টন গম আমদানি করে। গত বছর এর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি শুধুমাত্র ভারত থেকেই আমদানি করা হয়েছে।
ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু উচ্চ মূল্যের কারণে পরবর্তীতে সেগুলো বাতিল করা হয়।
মুম্বাইভিত্তিক একটি বাণিজ্যিক সংস্থা জানিয়েছে, রপ্তানি নিষিদ্ধের আগে ভারত থেকে প্রতি টন গম আমদানিতে ফ্রেইট চার্জসহ ৪০০ ডলারেরও কম মূল্য পরিশোধ করতো বাংলাদেশ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর রপ্তানিকারকরা প্রতি টনের দাম ৪৬০ ডলার নির্ধারণ করায় বাংলাদেশের বাজারেও দাম বেড়েছে গমের।
বর্তমানে দেশের প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। গত মে মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি বিগত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এছাড়া, দেশের গমের মজুদও তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ১ লাখ ৬৬ হাজার টনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।