মোটরসাইকেল চলছে না, নেই যানবাহনের দীর্ঘ সারি
গতকালের চেয়ে একদম বিপরীত চিত্র আজ পদ্মা সেতুতে। আজ আর সেতুর দুই প্রান্তে যানবাহনের দীর্ঘ সারি নেই।
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণার পরদিনই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
অবশ্য সেতুর মাওয়া পয়েন্টের টোল প্লাজায় সোমবার সকালে যানবাহন কম দেখা গেলেও সেতু পার হওয়ার আশায় বহু মোটরসাইকেলকে সংলগ্ন সড়কের কাছে জড়ো হতে দেখা যায়।
টোল প্লাজার কাছে যানজট না থাকায় আজ অধিকাংশ গাড়ি এবং পণ্যবোঝাই ট্রাক স্বাচ্ছন্দ্যে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে।
তাছাড়া, যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রথম দিনেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যুর পর সেতু কর্তৃপক্ষ, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসন তাদের নজরদারি বাড়িয়েছে।
পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর প্রথমদিনেই প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও গতকাল অনেক মানুষ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) নিয়ম লঙ্ঘন করে সেতুতে ওঠেন। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আজ কঠোর অবস্থানে আছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রোববার রাতেই একটি তথ্য বিবরণী জারি করেছে সরকার।
সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন টিবিএসকে বলেন, "আমরা টোল প্লাজা এলাকার কাছাকাছি মোটরবাইক আসতে দিচ্ছি না।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সেতু পার হতে পারবে না।'
এদিকে পদ্মা সেতু টোল প্লাজার (মাওয়া প্রান্ত) ব্যবস্থাপক হাসিবুল হামিদুল হক জানান, বিআরটিসি বাসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত প্লাজার দুটি ব্যারিয়ার মেরামত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ায় গতকালের তুলনায় আজ গাড়ির চাপ বেশ কম।"
গতকাল (২৬ জুন) সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার ৩০০ টাকা।
উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম ২০ ঘণ্টায় ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি দিয়ে মোট গাড়ি পারাপার হয়েছে ৫১ হাজার ৩১৬টি। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২৬ হাজার ৫৮৯টি যান থেকে আদায় হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৯০০ টাকা।
আর জাজিরা প্রান্তে ২৪ হাজার ৭২৭ যানে আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৪ হাজার ৪০০ টাকার টোল।