এবার আমাদের ব্রিটনিকেই সমর্থন করা উচিত: জাস্টিন টিম্বারলেক
এক সময় জাস্টিন টিম্বারলেকের প্রতি নিজের গভীর অনুরাগের কথা জানিয়েছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। বুধবার আদালতে ব্রিটনির শুনানির পর জাস্টিন টিম্বারলেকও তার প্রতি সমর্থনের কথা জানান।
নিজের ভেরিফায়েড টুইটার একাউন্টে টিম্বারলেক লিখেন, 'আজকে আমরা যা জানলাম তাতে এবার আমাদের উচিত ব্রিটনিকেই সমর্থন দেওয়া।'
বুধবার আদালতের আদেশকৃত জিম্মায় থাকাবস্থার শুনানিতে ব্রিটনি দাবি করেছেন যে, তাকে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে। এছাড়াও তার গোপনীয়তা নেই, জোর করে তাকে পারফর্ম করতে এবং ওষুধ খেতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও দাবি করেন এ গায়িকা।
সে প্রেক্ষিতেই টিম্বারলেক নিজ সমর্থন ও সহানুভূতি জানালেন।
এই গায়ক ও অভিনেতা আরও বলেন, "আমাদের অতীত, ভালো-খারাপ সময় কিংবা এটা যত আগের ঘটনাই হোক না কেন, সেসব বাদ দিয়েই বলছি... তার সাথে যা হচ্ছে সেটা মোটেও ঠিক নয়। নিজের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে কোনো নারীকেই বাধা দেয়া উচিত না।"
তিনি আরও লিখেন, "কাউকেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে আটকে রাখা উচিত না, কিংবা তার কষ্টার্জিত সবকিছু কেড়ে নেওয়াও ন্যায্য নয়।"
টিনএজ বয়সেই জনপ্রিয় এই জুটি প্রেম শুরু করেন এবং উভয়েই নিশ্চিত করেন যে ১৯৯৯ সাল থেকেই তারা প্রেম করছেন। 'দ্য অল নিউ মিকি মাউস ক্লাব' এ শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ের সময়ই তাদের পরিচয়।
ব্রিটনি-টিম্বারলেকের সম্পর্ক বহুদিন ধরেই পপ গানের জগতের রূপকথা হিসেবে প্রচলিত ছিল। ২০০২ সালে তাদের বিচ্ছেদ ছিল এর বড় একটি কারণ।
পরবর্তীতে, ব্রিটনি কেভিন ফেডারলাইনকে বিয়ে করেন এবং দুই ছেলের জন্মের পর তার সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
অন্যদিকে, ২০১২ সালে অভিনেত্রী জেসিকা বিয়েলকে বিয়ে করে করে একসঙ্গে আছেন টিম্বারলেক। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন 'জেস এবং আমি এবার ব্রিটনিকে সমর্থন ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, আদালত ও তার পরিবার মিলে এবার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে নিজের ইচ্ছা মতো বাঁচতে দেবে।
ইতঃপূর্বে, ব্রিটনির ব্যক্তিগত নানান সমস্যা নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এরপর ২০০৮ সালে এক আইনি সমঝোতার ভিত্তিতে ব্রিটনির বাবা জেমি স্পিয়ার্স এবং অ্যাটর্নি অ্যান্ড্রু ওয়ালেটকে ব্রিটনির মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের এস্টেটের জিম্মাদার নিযুক্ত করা হয়। বুধবারের শুনানিতে ওই আইনি ব্যবস্থার অপব্যবহার নিয়ে প্রথমবারের মতো ব্রিটনির মন্তব্য জেনেছে বিশ্ববাসী।
২০১৯ সালে ওয়ালেট পদত্যাগ করার পর ব্রিটনির বাবাই মেয়ের সম্পত্তির একমাত্র জিম্মাদার হিসাবে রয়ে যান। তবে ২০২০ সালে আদালত বেজমার ট্রাস্টকে সহ-রক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।
- সূত্র: সিএনএন