কণ্ঠস্বর হারানোর ভুয়া খবরে কষ্ট পেয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী
বাপ্পি লাহিড়ী নাকি হারিয়েছেন গলার স্বর। বলতে পারছেন না কথা! জোর গুঞ্জন ছিল বলিউডে। একটি মহল থেকে সেরকমই দাবি করা হচ্ছিল।
এক সময় মিঠুন চক্রবর্তীর ছবিতে বাপ্পির সুর এবং নায়কের লিপে বাপ্পির গান প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছিল। প্রচুর সুপারহিট সব ছবিতে তার করা সুর ও গাওয়া গান আজও টাটকা ছবিপ্রেমী দর্শকদের মনে।
বছর কয়েক আগে 'দ্য ডার্টি পিকচার', 'গুন্ডে' ছবিতে গাওয়া তার গানে নেচে উঠেছিল দর্শক। সেই বাপ্পি নাকি আর গাইতে পারবেন না গান? এমনই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বি-টাউনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তার ফ্যানেরা।
এবার সেই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে নেটমাধ্যমে বাপ্পি নিজেই জানালেন, ভালো আছেন তিনি। তার কণ্ঠস্বর হারানোর খবরটি গুজব ছাড়া আর কিছু নয়!
ইনস্টাগ্রামে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বাপ্পি লিখেন, 'আমার শরীর নিয়ে কিছু মিথ্যা খবর পড়ে যারপরনাই ব্যথিত হয়েছি। আমার ফ্যান ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশীর্বাদে আমি সুস্থ আছি।'
ঘোষণা শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তার ফ্যানেরা। পোস্টের কমেন্টে দুঃখ প্রকাশ করেছে সংগীতশিল্পী শান লিখেছেন, ঠিক এইসব গুজবের কারণেই উদ্বেগ বাড়ে এবং মানুষ ভয় পায়।
কীভাবে রটেছিল এই গুজব?
আসলে কয়েক মাস আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান সংগীতশিল্পী। ভর্তি ছিলেন মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। এরপর কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসলেও শরীর আর সম্পূর্ণ ঠিক হয়নি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তাকে দেখতেও গিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব। তাদের সঙ্গেও নাকি কোনো কথা বলেননি বাপ্পি।
ওই অতিথিদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছিলেন, শরীর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এই বর্ষীয়ান সুরকারের।
অন্যদিকে, মিড-ডে'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পি-পুত্র বাপ্পা জানিয়েছেন, 'কোভিডের পাশাপাশি বাবার ফুসফুসেরও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বাবাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে। সেই কারণেই এমন গুজব রটেছে যে, বাবা কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু মনের জোর ধরে রেখেছেন তিনি।'
বাপ্পা আরও জানান, দুর্গাপুজোর আগে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে একটি পুজোর গানও রেকর্ড করতে আগ্রহী বাপ্পি লাহিড়ী।