কেন শাহরুখ-পুত্রের জামিন আবেদন আবারও খারিজ করল আদালত
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পর ভারতের সেশন কোর্টও গতকাল খারিজ করে দিয়েছে আরিয়ান খানের জামিনের আর্জি। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট গ্রহণযোগ্যতার জেরে খারিজ করেছিল আরিয়ানের জামিন আবেদন, তবে সেশন কোর্ট নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) দলিল প্রাথমিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে আরিয়ান খানের জামিন নামঞ্জুর করেছে।
শাহরুখ ভক্তরা এই রায়কে 'নিষ্ঠুর' আখ্যা দিয়েছে, বলিউডের একটি পক্ষও করছে প্রতিবাদ। তবে কী কারণে আরিয়ান খানের জামিন খারিজ করলেন সেশন কোর্টের বিচারক?
রায়ের বিস্তারিত প্রতিলিপিতে বিচারক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে যে তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে তা স্পষ্ট বলছে নিষিদ্ধ মাদকের লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল আরিয়ান খানের। মাদকপাচারকারী এবং মাদকচক্রীদের আঁতাতের সঙ্গে আরিয়ান খানের যে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট মিলেছে তা অপরাধমূলক উপাদান হিসেবে বিবেচ্য।
আরিয়ান খানের কাছে কোনও মাদক মেলেনি, শাহরুখ-পুত্রের আইনজীবীদের এই সাফাইও গ্রাহ্য করেনি আদালত। বরং এনসিবির আইনজীবীর দলিল মেনে নিয়েছে কোর্ট। আদালত জানান, আরবাজ মার্চেন্টের কাছে নিষিদ্ধ মাদক রয়েছে তা জানতো আরিয়ান। আরবাজ ও আরিয়ান দুজনে মিলেই ৬ গ্রাম চরস ব্যবহার করত, তাই সেটি সরাসরি আরিয়ানের কাছ থেকে উদ্ধার না হলেও পরোক্ষভাবে দুজনের জিম্মাতেই ছিল।
সেশন কোর্ট আরও জানান, বেআইনি মাদক সংক্রান্ত কার্যকলাপের সঙ্গে নিয়মিত জড়িত ছিল আরিয়ান খান তাও সামনে এনেছে সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তাই প্রমোদতরীতে আরিয়ানের উপস্থিতিকে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে দেখছে না আদালত এবং জামিনে ছাড়া পেলে এই ধরণের অপরাধ সে পুনরায় করবে না- এমন কোনও নিশ্চয়তাও দেখেনি আদালত, সেই কারণেই আরিয়ানের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত।
অন্যদিকে সেশন কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর জামিনের জন্য মুম্বাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আরিয়ানের আইনজীবীরা। আজ (বৃহস্পতিবার) আরিয়ানের জামিনের আবেদন আদালতের কাছে উল্লেখ করবেন তার আইনজীবীরা। তা গ্রহণ করলে পরবর্তীতে হাইকোর্ট আবেদনের শুনানির জন্য নির্দিষ্ট তারিখ দেবে। সামনেই দিওয়ালির ছুটির জন্য কোর্টের কার্যক্রম বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকবে, যা চিন্তা বাড়াচ্ছে খান পরিবারের। আপাতত আর্থার রোড জেলেই বন্দি থাকছেন আরিয়ান।