সন্তানদের যৌথ অভিভাবকত্ব পেলেন ব্র্যাড পিট, বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জোলির
হলিউডের অন্যতম আলোচিত দম্পতি 'ব্র্যাঞ্জেলিনা'। প্রায় এক যুগ এক ছাদের নিচে কাটানোর পর ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের আবেদন করেন জোলি। এরপর থেকেই এক দীর্ঘ অভিভাবকত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এ দম্পতি।
এই মামলার তদারকি করার জন্য নিযুক্ত বিচারক জন ওউডারকির্ক এবার ব্র্যাড পিটের পক্ষে রায় দিয়েছেন। সন্তানদের যৌথ কাস্টডি সঁপে দেয়া হয়েছে অভিনেতার হাতে।
ফলে পিট এখন থেকে তার সন্তানদের সাথে 'উল্লেখযোগ্য বেশি' পরিমাণ সময় কাটাতে পারবেন।
কিন্তু এ রায়ের বিরোধিতা করেছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাছাড়া সন্তানদের মতামত শোনেনি আদালত, এটিও অভিযোগ জোলির।
দাম্পত্য জীবনে ছয় সন্তানের অভিভাবক অ্যাঞ্জেলিনা (৪৫) এবং পিট (৫৭) জুটি। ম্যাডক্স (১৯), প্যাক্স (১৭), জাহরা (১৬), শিলোহ (১৪) এবং যমজ ভিভিয়েন ও নক্স (১২)- এদের মধ্যে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা এবং তিন জনকে দত্তক নিয়েছিলেন এই দম্পতি। তবে সবচেয়ে বড় সন্তান ম্যাডক্স প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার উপর কাস্টডির সিদ্ধান্ত বর্তাবে না; সে নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নেবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে, এই সিদ্ধান্তটি একেবারেই আকস্মিক এবং জোলি এখনো তার আইনি লড়াই বজায় রেখেছেন।
সেখানে আরও বলা হয় যে, জোলি এই যৌথ অভিভাবকত্ব মানবেন না কিন্তু এখানে 'আরও কিছু উদ্বেগের বিষয়' রয়েছে।
আরেকটি সূত্র মতে, গত কয়েক মাস ধরেই এই মামলা চলেছে এবং এতে বিপুল সংখ্যক সাক্ষী, বিশেষজ্ঞ ও থেরাপিস্ট অংশ নিয়েছেন।
তবে জোলির অভিযোগ, প্রয়োজনীয় প্রমাণ-সাক্ষ্য শুনতে অস্বীকার করেছেন বিচারক।
মেজাজ হারিয়ে সন্তানের ওপর হাত তোলার অভিযোগ ছিল ব্র্যাড পিটের ওপর, যদিও এমন কোনও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি পরে।
গত বছর 'ভোগ' সাময়িকীকে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে জোলি বলেছিলেন, পারিবারিক কল্যাণের জন্যই তিনি বিচ্ছেদের পথে গিয়েছিলেন।
"এটিই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত। বিচ্ছেদের পর আমি ক্ষত সারানোতেই মনোযোগ দিয়েছিলাম", বলেন জোলি।
২০০৫ সালে 'মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ' ছবির সেটে পরিচয় হয় এ দুই তারকার। ব্র্যাড তখন বিবাহসূত্রে অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে বাঁধা। বলা হয়ে থাকে, জোলির জন্যই ২০০৫ সালে বিচ্ছেদ হয় ব্র্যাড পিট আর জেনিফার অ্যানিস্টনের।
এরপর প্রায় ১০ বছর একসাথে কাটিয়ে সন্তানদের অনুরোধে ২০১৪ সালের আগস্টে বিয়ে করেন এই জুটি। সেটা ছিল ব্র্যাড পিটের দ্বিতীয় আর অ্যাঞ্জেলিনা জোলির তৃতীয় বিয়ে। এরপর মাত্র দু'বছরের মাথায় ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন জোলি।
- সূত্র-বিবিসি