গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের জয়জয়কার, পুরস্কার জিতল ‘আগন্তুক’
গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে ভিউয়িং রুমের ফিল্ম বাজার রিকমেন্ডস বিভাগ থেকে প্রসাদ ডিআই অ্যাওয়ার্ড ও মুভিবাফ অ্যাপ্রিসিয়েশন আওয়ার্ড জিতেছে বিপ্লব সরকারের পরিচালনায় নির্মিত বাংলাদেশি ফিচার ফিল্ম 'আগন্তুক' (দ্য স্ট্রেঞ্জার)। গত বৃহস্পতিবার এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
২০ নভেম্বর থেকে ভারতের গোয়ায় শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া (আইএফএফআই)-এর ৫৩তম আসর। এবারের আসরে বাংলাদেশের চারটি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এগুলো হলো ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ও গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত 'পাপ পুণ্য', খাঁচা' খ্যাত নির্মাতা আকরাম খানের নতুন ছবি 'নকশিকাঁথার জমিন', 'কমলা রকেট' খ্যাত নির্মাতা নূর ইমরান মিঠুর দ্বিতীয় ছবি 'পাতালঘর' এবং খন্দকার সুমন পরিচালিত গণঅর্থায়নে নির্মিত ছবি 'সাঁতাও'।
এবারের আসরে রেড কার্পেট জুড়ে ছিল বাংলাদেশি নির্মাতা ও তারকাদের সরব উপস্থিতি। আকরাম খানের সঙ্গে উৎসবে যোগ দিয়েছেন 'নকশিকাঁথার জমিন'-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা জয়া আহসান, সেঁওতি, দিব্য জ্যোতি, সৌম্য জ্যোতি। দিব্য ও সৌম্যের সঙ্গে তাদের বাবা-মা শাহনাজ খুশী ও বৃন্দাবন দাশও উপস্থিত ছিলেন।
'পাপ পুণ্য' সিনেমার প্রতিনিধি হিসেবে উৎসবে অংশ নিয়েছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, আফসানা মিমি ও চঞ্চল চৌধুরী। 'পাতালঘর' এর প্রচারণায় ছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়কারী চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া ও প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন। সাঁতাও এর প্রতিনিধি করছেন নির্মাতা খন্দকার সুমন।
এছাড়া গাউসুল আলম শাওন, রেদওয়ান রনি, পিপলু আর খান, সরদার সানিয়াত হোসেন, আদনান আল রাজীব, বিজন ইমতিয়াজ-সহ বেশ কয়েকজন প্রযোজক ও পরিচালক এই চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন।
পাতালঘর-এর প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন ভ্যারাইটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'এ বছর চারটি ফিচার ফিল্ম প্রদর্শিত হয়েছে। এটি বেশ ব্যতিক্রমী ঘটনা। এর অর্থ বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর ভালোমানের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে। ওটিটি ও বাংলাদেশি কনটেন্টগুলোর উত্থানে আমার মনে হয় বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সেরা সময় যাচ্ছে'।
আজ ২৮ নভেম্বর এই চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হতে যাচ্ছে।