সুশান্তের বিদায়ের আড়াই বছর পর মারা গেল ‘অভিনেতার শোকে কাতর’ পোষ্য কুকুরটিও
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত ছিলেন বলিউডের উঠতি তারকা। খুব অল্প সময়েই 'কাই পো চে' কিংবা 'এম.এস. ধোনি'-এর মত বেশ কয়েকটি সিনেমায় দুর্দান্ত সব অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ২০২০ সালের ১৪ জুন না ফেরার দেশে চলে যান বলিউডের সম্ভবনাময়ী এ অভিনেতা।
অসম্ভব প্রতিভার অধিকারী সুশান্তের অকাল প্রয়াণ বহু ভক্তের মতই মেনে নিতে পারেননি অভিনেতার পোষ্য কুকুরটিও। মালিকের মৃত্যুর পর যেন অনেকটাই একা হয়ে পরেছিলেন পোষ্য কুকুর 'ফাজ'। অবশেষে সুশান্তের মৃত্যুর আড়াই বছর পর সুশান্তের স্মৃতিবিজড়িত কুকুর 'ফাজ'ও চলে গেল না ফেরার দেশে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
পোষ্য কুকুরটির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন সুশান্তের বোন প্রিয়াঙ্কা সিং। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে প্রিয়াঙ্কা জানান, "ফাজ, তুমি তোমার বন্ধুর সঙ্গে স্বর্গে যোগ দিলে। আমরাও জলদি আসব। ততক্ষণ এই কষ্ট নিয়েই বেঁচে থাকা।" সুশান্তের বোন ওই পোস্টে ফাজের দুটো ছবিও শেয়ার করেছেন। একটি সুশান্তের সঙ্গে এবং অন্যটি তার সঙ্গে।
পোষ্য কুকুর হিসেবে ফাজের সাথে সুশান্তের ছিল গভীর বন্ধুত্ব। কুকুরটির মৃত্যুর খবর শুনে সুশান্ত-ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়াতে শোক প্রকাশ করছেন। একইসাথে অভিনেতার সাথে জীবনদশায় এ পোষ্যের স্মৃতি বিজরিত নানা মুহূর্তের ছবি আর ভিডিও নেটিজেনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন।
প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবিগুলো থেকে এটা স্পষ্ট যে, সুশান্ত পোষ্য ফাজকে খুব ভালবাসতেন। তাই সুশান্তের মৃত্যুর পর কুকুরটি মানসিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছিল। সবসময় পাগলের মত খুঁজে বেড়িয়েছে সুশান্তকে।
সুশান্তের অকাল মৃত্যুর পর ফাজ এ অভিনেতার পরিবারের কাছেই ছিলেন। তবে সুশান্তের অনুপস্থিতিতে কুকুরটি শোকে-দুঃখে চুপচাপ হয়ে গিয়েছিল। ঘরে কেউ এলেই দৌড়ে যেতেন দরজার কাছে। নিজে পরখ করে দেখতেন তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু সুশান্ত ফিরেছেন কি না!
সুশান্তের বোনের পোস্টে এক ভক্ত কমেন্ট করেন, 'বেদনাদায়ক! সুশান্তের পর ফাজও আমাদের মধ্যে নেই। ভাবতে পারছি না আমি।' অন্য এক ভক্ত লেখেন, 'খুব দুঃখিত, দিদি। জানি তোমরা কীসের মধ্য দিয়ে যাচ্ছ। তা-ও বলব মনকে শান্ত করো।'
অন্যদিকে সুশান্তের মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে রহস্যর মীমাংসা আজও হয়নি। যদিও প্রাথমিকভাবের মৃত্যুটিকে আত্মহত্যা বলেই চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সুশান্তের ময়নাতদন্তে উপস্থিত রুপকুমার শাহ নামের এক কর্মী সম্প্রতি এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন।
টাইমস নাউকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রুপকুমার বলেন, 'সুশান্তের দেহে একাধিক আঘাত ছিল এবং ঘাড়ে দুই থেকে তিনটি দাগ ছিল। তার দেহ প্রথমবার দেখে আমি ঊর্ধ্বতনদের বলি এটা আত্মহত্যা নয়, খুন! কিন্তু তারা আমাদেরকে ছবি তুলে মৃতদেহটি দ্রুত পুলিশকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। ঐ রাতেই আমরা সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত শেষ করেছিলাম।'