নতুন প্রজন্মের কাছে 'ফ্রেন্ডস' সিরিজটি আপত্তিকর: জেনিফার অ্যানিস্টন
দিন দিন কি কমেডির ভাবনা, মান সব পাল্টে যাচ্ছে? বদলে যাচ্ছে হাসি-মজার ধরন? অন্তত তেমনটাই মনে করেন মার্কিন অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টন।
জেনিফার অ্যানিস্টনের ভাবনা অনুযায়ী, সময়ের সাথে সাথে কমেডির মান বদলাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের অনেকেই নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় সিটকম 'ফ্রেন্ডস' সিরিজটিকে 'আপত্তিকর' বলে মনে করে। অনেকেরই এটি ঘোরতর অপছন্দ।
৫৪ বছর বয়সী অভিনেত্রী তার পরবর্তী ছবি মার্ডার মিস্ট্রি ২ -এর প্রচারণায় নেমেছেন। ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জনপ্রিয় সিটকম 'ফ্রেন্ডস' এর বিষয়ে কথা বলেন এবং এটি নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন তা জানান।
অভিনেত্রী বলেন, কমেডিয়ানরা এখন অনেক ক্ষেত্রেই 'জীবন নিয়ে হাস্যরস' করার 'অনুমতি পায় না'। তার ভাষ্যে, "এখন বিষয়টা অনেক চতুরতার সাথে করতে হয়, খুব সাবধান থাকতে হয় কমেডি করার সময়, যা কমেডিয়ানদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়; কারণ কমেডির সৌন্দর্য্যই হচ্ছে আমরা নিজের নিয়ে মজা করবো এবং যাপিত জীবন নিয়েও মজা করবো।"
সম্প্রতি এএফপিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেনিফার অ্যানিস্টন বলেন, "একটা গোটা প্রজন্ম আছে যারা এখন 'ফ্রেন্ডস' এর এপিসোডগুলো দেখেন এবং সেটাকে আপত্তিকর বলে মনে করেন। কিছু জিনিস থাকে যা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয় না... আমাদের হয়তো সেভাবেই ভাবা উচিত ছিল। কিন্তু এখন যেরকম সংবেদনশীলতা আছে তা আগে ছিল বলে আমি মনে করি না।"
প্রগতিশীলতা ও সংবেদনশীলতা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সৃজনশীলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে- এমন মতামত শুধু জেনিফার অ্যানিস্টন একাই ব্যক্ত করেননি। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিস রক ও ডেভ চ্যাপেলের মতো কমেডিয়ানরাও কমেডিকে সীমাবদ্ধ করে ফেলার সমালোচনা করেছেন।
এদিকে কোনো কোনো দর্শক 'ফ্রেন্ডস' সিরিজে বৈচিত্র্যতার অভাব আছে বলে মনে করেন। সিরিজের প্রধান সব চরিত্রই শ্বেতাঙ্গ এবং ভিন্ন বর্ণের চরিত্র সেখানে দেখানো হয়নি বললেই চলে। আবার অনেক দর্শকের কাছে সিরিজের বিভিন্ন সংলাপ বা জোক হোমোফোবিক বা ট্রান্সফোবিক বলে মনে হয়েছে।
তবে 'ফ্রেন্ডস' এর একজন কো-ক্রিয়েটর মার্তা কৌফম্যান সিরিজে বৈচিত্র্যতার অভাব আছে স্বীকার করে বলেছেন, "দোষ স্বীকার করে নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। আয়নায় নিজেকে দেখলে তখন খুবই কষ্ট হয়। ২৫ বছর আগে আমি আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারিনি বলে আমি লজ্জিত।"