ইয়ামালকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিপাকে সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার
গতরাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় পিএসজি ও বার্সেলোনা। প্যারিসের পার্ক দে প্রিন্সেসে প্রথম লেগে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা। মাঠের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ হলেও মাঠের বাইরের এক ঘটনায় একাত্ম হয়েছেন দুই দলের ফুটবলাররা।
বার্সেলোনার তরুণ প্রতিভা লামিন ইয়ামালকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন সাবেক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক হারমান বার্গোস। টিভি চ্যানেলে মাত্র ১৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে সেই চ্যানেলকে বর্জন করেছেন বার্সেলোনা ও পিএসজি দলের ফুটবলাররা।
স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল ও চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্যতম সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান মুভিস্টার প্লাসে বার্গোস আপত্তিকর মন্তব্য করেন ইয়ামালকে নিয়ে। শেষ পর্যন্ত বারগোস ক্ষমা চাইলেও লাভ হয়নি। দুই দলের খেলোয়াড়েরা ম্যাচ শেষে মুভিস্টার প্লাসের সঙ্গে কথা বলা এবং সাক্ষাৎকার দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। স্পেনের ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট 'রেলেভো' জানিয়েছে, বারগোস মুভিস্টার প্লাস থেকে পদত্যাগ করেছেন।
পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচ শুরুর আগে বল নিয়ে অনুশীলন করছিলেন ইয়ামাল। গা গরমের সময় স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলাররা কারিকুরি করে থাকেন। ইয়ামালও সেটিই করছিলেন। সে সময় বার্সার ১৬ বছর বয়সী উইঙ্গারের উদ্দেশ্যে বারগোস বলেন, 'সে যদি বড় মাপের ফুটবলার হতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এসব দক্ষতা রাস্তার ট্রাফিক সিগনালে গিয়ে দেখাতে হবে।' অনেকের দাবি, বারগোস এই কথা দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, ইয়ামাল যদি নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে না পারেন তাহলে তিনি রাস্তায় ভিক্ষা করবেন বা রাস্তায় নিজের ফুটবলশৈলী দেখিয়ে টাকার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতবেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলো বারগোসের মন্তব্যকে 'নিম্নশ্রেণির' বলে আখ্যায়িত করেছে।
তবে এরপর বারগোসে দাবি করেছেন, তার মন্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুভিস্টার প্লাস ও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন ৫৪ বছর বয়সী এই সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার। মুভিস্টার প্লাসকে তিনি বলেছেন, 'আমি কাউকে আঘাত করার জন্য এই কথা বলিনি। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু কখনো কখনো কৌতুক করে বলা কথাও আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে। কেউ যদি আমার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তার জন্য আমি দুঃখিত এবং প্রকাশ্যে ক্ষমাপ্রার্থী।'
তবে বারগোস ও মুভি স্টারের ক্ষমা চাওয়ার পরও চিড়ে ভেজেনি। চ্যানেলটির সঙ্গে কথা না বলার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল ছিলেন বার্সা ও পিএসজির ফুটবলাররা। যার কারণে ম্যাচ শেষে চেষ্টা করেও কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেননি চ্যানেলটির প্রতিনিধি।