২৫ বছর বয়সে মারা গেলেন কে-পপ তারকা মুন বিন, পুলিশের ধারণা আত্মহত্যা
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই থেমে গেল কে-পপ তারকা ও দক্ষিণ কোরিয়ান ব্যান্ড 'অ্যাস্ট্রো' এর সদস্য মুন বিনের জীবন। বুধবার (১৯ এপ্রিল) গায়কের নিজ বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, খবর বিবিসির।
পুলিশের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার রাতে মুন বিনের সিউলের অ্যাপার্টমেন্টে তাকে প্রাণহীন অবস্থায় দেখতে পান তার ম্যানেজার।
পুলিশের ভাষ্যে, "ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য ময়নাতদন্ত পর্যালোচনা করা হচ্ছে।"
মুনবিন যে এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানিতে শিল্পী হিসেবে কাজ করতেন, সেই ফ্যান্টাজিও কোম্পানি তারকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছে, "মুনবিন খুবই অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন এবং আকাশের তারা হয়ে রইলেন।"
২০১৬ সালে সুপ্রতিষ্ঠিত কে-পপ গ্রুপ, বয় ব্যান্ড 'অ্যাস্ট্রো'তে যোগদানের আগে মুনবিন ছিলেন একজন অভিনেতা এবং মডেল। তিনি মুন বিন অ্যান্ড সানহা নামক একটি সাব-গ্রুপের সাথেও পারফর্ম করেছেন।
এক বিবৃতিতে ফ্যান্টাজিও সবাইকে "অনুমানমূলক এবং বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিবেদন থেকে দূরে থাকতে" অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে করে মুন বিনের পরিবার শান্তিপূর্ণভাবে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারে।
'অ্যাস্ট্রো'তে যোগ দেওয়ার আগেই ছোটবেলায় ফ্যান্টাজিওর ট্রেইনি প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন মুন বিন। দলটিতে মূলত ছয়জন পারফর্মার ছিলেন, কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একজন সদস্য চলে যান।
মুন বিনের বোন মুন সুয়াও একজন কে-পপ গায়িকা। তিনি গার্ল গ্রুপ 'বিলি'র হয়ে বর্তমানে পারফর্ম করছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রাণ হারানো কে-পপ তারকাদের মধ্যে সর্বশেষ সংযোজন মুন বিন। এর আগে ২০১৯ সালে গায়িকা ও অভিনেত্রী গু হারাকে সিউলে তার নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ২০১৮ সালে বয় ব্যান্ড হান্ড্রেড পারসেন্ট এর সদস্য মিনউ নিজ বাড়িতে মারা যান। দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় বয় ব্যান্ড শাইনি এর সদস্য জংহিউন ২০১৭ সালে মারা যান।
উন্নত দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় তরুণদের আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে সামগ্রিক আত্মহত্যার হার কমলেও, বিশের কোঠায় থাকা তরুণদের মৃত্যুর হার বাড়ছে।