গরুর মাংস খাননি, অভিযোগ অস্বীকার করলেন বিজেপি প্রার্থী ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত
ভারতীয় অভিনেত্রী ও বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী কঙ্গনা রানাওয়াত তার বিরুদ্ধে আনা গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কঙ্গনা রানাওয়াত বলেছেন, তাকে নিয়ে করা বিরোধীদের দাবি 'লজ্জাজনক' এবং 'ভিত্তিহীন গুজব'।
গরুর মাংস খাওয়ার বিষয়টি ভারতে অত্যন্ত সংবেদনশীল ভাবে দেখা হয় কারণ দেশটির বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী হিন্দুরা গরুকে পবিত্র বলে মনে করেন।
বিজেপির কিছু রাজনীতিবিদ গরু জবাই নিষিদ্ধ করারও দাবি করে আসছেন অনেকদিন থেকে।
কঙ্গনা বলিউডের একজন প্রশংসিত অভিনেত্রী। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অতীতে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগ আনেন একজন বিরোধী নেতা।
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপির হয়ে লড়বেন কঙ্গনা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগটি তার রাজনীতির ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ তিনি লিখেছেন, "আমি গরুর মাংস বা অন্য কোনো লাল মাংস খাই না। এটা লজ্জাজনক কারণ আমাকে নিয়ে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি যোগ ও আয়ুর্বেদিক জীবনধারার পক্ষে এবং সেটি প্রচার করি। এমন কৌশল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারবে না। আমার লোকেরা আমাকে চিনে এবং তারা জানে, আমি একজন গর্বিত হিন্দু। কোন কিছুই তাদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না।"
ভারতে গো-রক্ষা একটি সংবেদনশীল বিষয় যার জন্য অতীতে কট্টরপন্থীরা দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর হামলা ও সহিংসতা চালিয়েছে। গরুর মাংস উৎপাদনে স্থানীয় বিধিনিষেধ থাকলেও ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রধান গরুর মাংস উৎপাদনকারী দেশ। ২০১৭ সালে দেশব্যাপী গবাদি পশু জবাই নিষিদ্ধ করার জন্য বিজেপির প্রচেষ্টা দেশটির উচ্চ আদালত থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রি এবং খাওয়া নিষিদ্ধ।
তবে কঙ্গনা রানাওয়াত অতীতে আরো অনেক বিতর্কে জড়িয়েছেন। ২০২০ সালে হিন্দি সিনেমার জগতে খ্যাতির শিখরে থাকার সময় তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রির কয়েকজনের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন।
২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একজন বিরোধী নেতাকে 'দমন' করতে মোদীর প্রতি আহ্বান জানালে টুইটার কর্তৃপক্ষ তার অ্যাকাউন্টটি সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগ এনে বন্ধ করে দিয়েছিল।
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়