২ মাস বন্ধ থাকার পর টিকটকে ফিরল টেইলর সুইফটের গান
টিকটক ও ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের (ইউএমজি) মধ্যে লাইসেন্স সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্ল্যাটফর্মটিতে টেইলর সুইফটের গান বন্ধ ছিল। প্রায় ১০ সপ্তাহ বিরতির পর প্ল্যাটফর্মটিতে ফিরে এসেছে গানগুলো।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুইফটের 'ইউ বিলং উইথ মি', 'লাভার', 'কারডিগান', 'স্টাইল', 'ইজ ইট ওভার নাউ?', 'দ্য ম্যান', 'মি' ইত্যাদি গানগুলো টিকটকে পাওয়া যাচ্ছে। এখন ব্যবহারকারীরা চাইলে এই গানগুলো নিজেদের ভিডিওতে যুক্ত করতে পারছে।
সুইফটের গানগুলো এমন এক সময়ে টিকটকে আসলো যখন তার পরবর্তী অ্যালবাম 'দ্য টর্চারড পোয়েটস ডিপার্টমেন্ট' বাজারে আসছে। আগামী ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার অ্যালবামটি মুক্তির কথা রয়েছে।
মূলত গত ফেব্রুয়ারি মাসে টিকটক থেকে সুইফটের গানগুলো তুলে নেওয়া হয়েছিল। কেননা প্ল্যাটফর্মটির সাথে ইউএমজি ৩১ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তির নবায়ন করতে ব্যর্থ হয়।
সেক্ষেত্রে ইউএমজির অভিযোগ ছিল, টিকটকের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ অর্থের কথা নতুন চুক্তিতে বলা হয়েছিল তা পূর্বের চুক্তির তুলনায় কম ছিল। একইসাথে মিউজিক গ্রুপটির অভিযোগ, টিকটক এআই ও পাইরেসি সংক্রান্ত উদ্বেগ সমাধান করতে ইচ্ছুক নয়।
অন্যদিকে টিকটকের অভিযোগ, চুক্তি প্রক্রিয়ায় ইউএমজি 'মিথ্যা ন্যারেটিভ' ও 'রেটোরিক'-এ সংশ্লিষ্ট ছিল।
এমতাবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে যে, প্ল্যাটফর্মটি সুইফটের সাথে একটি পৃথক চুক্তিতে পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে মার্কিন এই শিল্পীর সম্ভবত নিজের গান সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। যদিও ২০২০ সালে তিনি ইউএমজি'র সাথে চুক্তি করেছিল। যার ফলে মিউজিক গ্রুপটির মাধ্যমেই সুইফট নিজের গানগুলো ডিস্ট্রিবিউশন করতেন।
ইউএমজির সাথে লাইন্সেস সংক্রান্ত জটিলতা থাকলেও গ্রুপটির অন্তর্ভুক্ত আরিয়ানা গ্র্যান্ডে, ক্যামিলা ক্যাবেলোর গান টিকটকে ঠিকই শোনা যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, সুইফট নিজের মুক্তির অপেক্ষায় থাকা অ্যালবামটির প্রোমোশনের জন্যও টিকটককে ব্যবহার করতে পারে। ঠিক যেমনটা করেছিলেন নিজের পূর্বে প্রকাশিত অ্যালবাম 'মিডনাইটস' এর জন্য।
ঐ অ্যালবামটির প্রচারণায় সুইফট প্রতিটি গানের জন্য একটি করে এক্সক্লুসিভ ভিডিও টিকটকে দিয়েছিলেন। সেটি থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল যে, ইউএমজি কর্তৃপক্ষও যেন সুইফটকে টিকটক ইস্যুতে বিশেষ ছাড় দিতে যাচ্ছেন।
প্ল্যাটফর্মটিতে সুইফটের গান পুনরায় ফিরে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে টিকটক কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে সুইফট ও ইউএমজির প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান