ঋষি কাপুরই করেছিলেন রণবীর-আলিয়ার বিয়ের প্ল্যানিং
পরিচালক মহেশ ভাট্টের মেয়ে আলিয়াকে শুরু থেকেই মনে ধরেছিল কপুর পরিবারের। ঋষি কপুরও মনে মনে ভাবতেন, আলিয়ার সঙ্গে রণবীরের বিয়ে হলে বেশ হয়! সেই বিয়ে হচ্ছে; কপুর পরিবারে এখন আনন্দের জোয়ার। কিন্তু দূর্ভাগ্য, এই আনন্দের কিছুই দেখে যেতে পারলেন না রণবীরের বাবা ঋষি কাপুর।
২০২০ সালে যখন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঋষি, তখন পারিবারিক শোকসভায় আলিয়াও উপস্থিত ছিলেন। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, তিনিও কপুর পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। ঋষি কপুরও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে ছেলের বিয়ে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, "রণবীর খুব চাপা স্বভাবের। ও যদি সম্পর্কের সাত-সতেরো ব্যক্তিগত রাখতে চায়, বাবা হিসেবে আমি সেটা সমর্থন করব।"
স্মৃতিচারণে এমন নানান পুরনো কথা উঠে আসে এক সাক্ষাৎকারে। সেখানে ঋষি কপুরের জীবনী 'খুললাম খুল্লা'-এর রচয়িতা মীনা আয়ারও প্রয়াত অভিনেতার বেশ কিছু কথা তুলে ধরেন। মীনা বলেন, "রণবীর যদি ব্যক্তিগত পরিসরে অল্প কিছু মানুষের সামনে বিয়ে সারেন, তাতে আপত্তি ছিল না ঋষির। উনি চাইতেন রণবীর তার নিজের মতো করে বাঁচুন, যাতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।"
বাস্তবে সেভাবেই বিয়ে সারছেন ঋষিপুত্র রণবীর কপুর। বিয়ে নিয়ে পারিবারিক পরিকল্পনা একেবারেই বাইরে আসছে না। সেইসঙ্গে নিরাপত্তাও করা হয়েছে জোরদার। এমনকি কবে বিয়ে আর কবে বৌভাত সে সম্পর্কেও সুস্পষ্ট তথ্য পাচ্ছেন না সাংবাদিকরা। এতটাই কি গোপনীয়তা চেয়েছেন রণবীর? বাবার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ীই কি বিয়ে করছেন তিনি?
মীনা আরও বলেন, ঋষি কপুর শেষ দিকে বলতেন, "রণবীর তাড়াতাড়ি বিয়েটা করুক। আমি ওর বিয়ে দেখে যেতে চাই। ও যদি ৪৫ জনের বেশি নিমন্ত্রিত অতিথি না চায়, তাহলেও আমার আপত্তি নেই।"
জীবনীকারের মুখে এমন স্মৃতিচারণ শুনে অনেকেই ভাবছেন, বাবার কথামতোই তাহলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারছেন রণবীর-আলিয়া। একেবারে ব্যক্তিগত গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকছে অনুষ্ঠান।
শোনা যাচ্ছে, ১৫ তারিখ বিয়ে সেরে ১৭ এপ্রিল মুম্বাইয়ের তাজমহল প্যালেসে একটি বড়সড় পার্টি দেবেন 'রণলিয়া'। সহকর্মী বন্ধুদের জন্যই সেই আয়োজন করা হচ্ছে। হোটেলের বলরুমে রিসেপশন পার্টি শুরু হবে ওইদিন রাত ৯ টায়।
- সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা