সাত নয়, চার পাক ঘুরলেন রণবীর-আলিয়া!
চৈত্রের শেষ বিকালে আলিয়ার চোখেই যেন নতুন করে নিজের 'সর্বনাশ' দেখলেন রণবীর কাপুর। যে ভালোবাসার বারান্দায় পাঁচ বছর ধরে হাসি-কান্না-প্রেমেমাখা মুহূর্তগুলো কাটিয়েছেন, সেখানেই আলিয়াকে নিজের ঘরণী বানালেন কাপুর খানদানের এই পুত্র। বৃহস্পতিবার বিকেলে রণবীরের বান্দ্রার বাড়ি বাস্তু তে বসেছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। আইভরি রঙের অরগানজা শাড়ি আর মুক্তো সাদা অলঙ্কারে সেজে বর-বধূ, মঙ্গলশঙ্খের ধ্বনি, প্রিয়জনদের আর্শীবাদ আর শুভেচ্ছায় সাত পাক নয়, বরং চার পাকে ঘুরলেন রণবীর-আলিয়া।
হ্যাঁ, বিয়ের অনুষ্ঠানে সাত পাক ঘোরেননি দুজনে, চার পাক ঘুরেই সেরেছেন বিয়ের অনুষ্ঠান, এমনটিই জানিয়েছেন কনের ভাই রাহুল ভাট। চারজন পণ্ডিতের উপস্থিতিতে হয়েছে বিয়ে, মণ্ডপে প্রয়াত ঋষি কাপুরের একটি ছবিও ছিল।
রাহুল বলেন, "পণ্ডিতজি প্রত্যেক পাকের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন দুজনকে। একটি হয় ধর্মের জন্য, অন্যটি সন্তানের জন্য… একদম চিত্তাকর্যক ব্যাপার। আমরা আগে কখনও এটি দেখিনি। আমি এমন একটি পরিবারের সন্তান, সেখানে সব ধর্মের মানুষজন রয়েছে। আমার কাছে এটি অন্যরকম। সাত নয়, চার পাক ঘুরেছে ওরা।" যদিও কী কারণে চার পাক ঘোরবার সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি রাহুল।
মেয়ের বিয়ে দিয়ে উচ্ছ্বসিত মহেশ ভাট। মেয়ে-জামাইয়ের নাম মেহেদি দিয়ে লিখেছেন নিজের হাতের তালুতে। ইটাইমসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "কারা বলে রূপকথা সময় পার হয়ে গেছে? আমি আজ সাক্ষী থাকলাম।"
বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের ছবি শেয়ার করে আলিয়া লেখেন, "আজ পরিবার পরিজন আর বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে নিজের পছন্দের জায়গাতেই নতুন জীবন শুরু করলাম। গত পাঁচ বছর যে ভালোবাসার ঝুল বারান্দায় আমরা একসঙ্গে সময় কাটিয়েছি….আমরা বিয়ে করলাম সেখানেই। অনেক স্মৃতি রয়েছে… আর আগামী দিনে দুজনে একসঙ্গে আরও অনেক স্মৃতি গড়তে চাই… যে স্মৃতিগুলো ভালোবাসা, হাসি, আরামদায়ক নিস্তব্ধতা, মুভি ডেট, খুনসুটি, ওয়াইনের গ্লাসের চুমুক আর চাইনিজ খাবারে ভরপুর….।"
সব শেষে মিসেস রণবীর কাপুর যোগ করেছেন, "সকলকে ধন্যবাদ এই ভালোবাসার জন্য, আমাদের জীবনকে আলোয় আলোকিত করার জন্য, সেটিই এই মুহূর্তকে স্পেশ্যাল করে তুলল।"